হাতিয়া, নোয়াখালী: নোয়াখালীর হাতিয়ায় মব সন্ত্রাস সৃষ্টি করে প্রাথমিক শিক্ষকের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক’কে দায়ী করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর মঙ্গলবার দুপুরে একটি লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক ইয়াছিন আরাফাত।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, হাতিয়া উপজেলার বড়দেইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া’র আজ্ঞাবহ একদল সন্ত্রাসী গোষ্ঠী কর্তৃক একই স্কুলের সহকারী শিক্ষক ইয়াছিন আরাফাত হামলা ও লাঞ্ছনার শিকার হন।
ওই সন্ত্রাসীরা ২৭ অক্টোবর বেলা ১১টার সময় স্কুলে এসে প্রথমে তাকে গালিগালাজ করে যায়। দুপুরে আকস্মিক বিদ্যালয় পরিদর্শনে আসেন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
এসময় বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি হাবিবুল্লাহ মিয়া ও তার ছেলে এবং ভাতিজা এসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দ ও আর্থিক দুর্নীতিসহ নানান অনিয়মের অভিযোগ করেন। বিষয়টি শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন এ শিক্ষা কর্মকর্তা। এ অভিযোগ উপস্থাপনের পিছনে ভুক্তভোগী শিক্ষক জড়িত আছে সন্দেহে প্রধান শিক্ষক বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়। পরে স্কুল ছুটির সময় ভুক্তভোগী শিক্ষক বাড়ি যাওয়ার জন্য বের হলেই প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন ভূঁইয়া ও তার আজ্ঞাবহ সন্ত্রাসী গোষ্ঠী পরিকল্পনামতো মব সৃষ্টি করে তাকে আক্রমন করে। এসময় তাকে প্রাণনাশের উদ্দেশ্যে গলা পেঁচিয়ে কিল-ঘুষি, ইট দিয়ে মাথায় ও গায়ে-পিঠে আঘাত করা হয়।
লিখিত অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনামুহূর্তে ভুক্তভোগী শিক্ষকের শোরচিৎকারে পার্শ্ববর্তী কয়েকজন নারীপুরুষ এসে তাকে উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন। পরে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনি চিকিৎসা নেন।
ভুক্তভোগী সহকারী শিক্ষক ইয়াছিন আরাফাত বলেন, প্রধান শিক্ষক পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে তার উপর সন্ত্রাসী হামলা করায়। এ ঘটনায় তিনি শিক্ষা ডিপার্টমেন্টের মাধ্যমে আইনী সহায়তা কামনা করেন।
এ বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, এটি একটা নোংরা ঘটনা। ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের দিয়ে অভিযোগ সৃষ্টি করে যেভাবে মব ঘটানো হয়েছে তা কারো জন্য শুভকর নয়। তিনি আরো বলেন, সার্বিক বিষয়ে তদন্ত চলমান আছে, দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।