মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন

ফ্লোটিলা অভিযাত্রী গ্রেটা থুনবার্গসহ ১৬৫ জনকে গ্রিসে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ১৩ বার পঠিত
আপডেট : সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:৪৩ অপরাহ্ণ

গ্রেটা থুনবার্গসহ গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার ১৬৫ অভিযাত্রীকে গ্রিসে পাঠাচ্ছে ইসরায়েল। শনিবার ইসরায়েলের টেলিভিশন চ্যানেল আই২৪ নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ফ্লোটিলা অভিযানে গ্রিসের নাগরিকদের সঙ্গে গ্রেটাসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক অভিযাত্রীদেরও একটি বিশেষ বিমানে গ্রিসে পাঠানো হচ্ছে।

ফিলিস্তিনের যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার বাসিন্দাদের জন্য খাদ্য ও ওষুধ নিয়ে ৩১ আগস্ট স্পেনের বন্দর থেকে যাত্রা শুরু করেছিল ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ মিশনের অন্তর্ভুক্ত ৪৩টি নৌযান।

ফ্রিডম ফ্লোটিলা ফাউন্ডেশন, গ্লোবাল মুভমেন্ট টু গাজা, মাগরেব সুমুদ ফ্লোটিলা এবং সুমুদ নুসানতারা। এই চারটি ফিলিস্তিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার জোট ‘ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশন (এফএফসি)’ ছিল মিশনের মূল উদ্যোক্তা।

মিশনে অংশ নিয়েছিলেন ৪৪টি দেশের প্রায় ৫০০ নাগরিক। তাদের মধ্যে ছিলেন সুইডেনের পরিবেশ আন্দোলনকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী নেতা ও সাবেক প্রেসিডেন্ট নেলসন ম্যান্ডেলার নাতি ম্যান্ডলা ম্যান্ডেলা এবং বিভিন্ন পার্লামেন্টারিয়ান, আইনজীবী, রাজনৈতিক কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবী।

গত বুধবার রাতে ইসরায়েলের নৌবাহিনী প্রথমে ১৩টি নৌযান আটক করলেও বাকি ৩০টি নৌযান গাজার উদ্দেশে এগিয়ে যাচ্ছিল। এই ৩০টি নৌযান থেকে পোল্যান্ডের নৌযান ‘ম্যারিনেট’ সবচেয়ে এগিয়ে ছিল। পরের দিন বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার ধাপে ধাপে ওই নৌযানগুলো আটক করে ইসরায়েলের নৌসেনারা। আটক নৌযানগুলো এবং অভিযাত্রীদের আশদোদ বন্দরে রাখা হয়েছে।

আই২৪ নিউজ জানিয়েছে, আটক অভিযাত্রীদের মধ্যে কয়েকজনকে গ্রিসে ফেরত পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, বাকিদের বিরুদ্ধে আইনী প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। গ্রেটা থুনবার্গও এই অভিযাত্রীদের মধ্যে আছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আটক অবস্থায় গ্রেটাকে সুইডেনের দূতাবাসের কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। গ্রেটা জানিয়েছে, তাকে অপরিচ্ছন্ন কারকক্ষে রাখা হয়েছিল এবং প্রয়োজনীয় খাবার ও পানি দেওয়া হচ্ছিল না। তাকে জোর করে ইসরায়েলি পতকা চুমু দিতে ও ছবি তোলার জন্য বাধ্য করা হয়েছিল।

অভিযাত্রী দলের সদস্য ইতালীয় সাংবাদিক লরেঞ্জো ডি’আগুস্টিনো গার্ডিয়ানকে বলেছেন, সবার সামনেই গ্রেটাকে হামাগুড়ি দিয়ে চলতে, ইসরায়েলের পতাকাকে চুমু খেতে এবং পতাকা গায়ে জড়িয়ে হাঁটতে বাধ্য করা হয়েছিল।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর