মঙ্গলবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৫, ১০:৩২ অপরাহ্ন

কারাগার থেকে বন্দিরা আমাকে ফোন দেয়: আইজি প্রিজন

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ২ বার পঠিত
আপডেট : মঙ্গলবার, ২৬ আগস্ট, ২০২৫, ৬:৩৩ অপরাহ্ণ

জাতীয় ডেস্ক:- কারাগারগুলোকে নগদ টাকা মুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন বলেছেন, গত এক বছরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা জব্দ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) কারা সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।

আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোতাহের হোসেন বলেন, আমরা কারাগারকে নগদ টাকা মুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছি। গত এক বছরে ঢাকা কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে ৮০ লাখ টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়েছে।

এখনো অল্প অল্প ধরা পড়ছে। পূর্বের অবস্থা থেকে উন্নতি হচ্ছে।

কারা সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন কারা মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ মো. মোতাহের হোসেন।

এ ছাড়া কারাবন্দিদের মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ এবং কারাগারে মাদক রোধে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি।

আইজি প্রিজন বলেন, আপনারা জানেন কারাগারে বিভিন্ন ধরনের অপরাধী থাকে। আমরা কঠোর হয়েছি, ফলে আমরা অনেকটা উদ্ধার করেছি। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে অন্তত এক হাজারের বেশি অভিযান চালানো হয়েছে।

কারাগার ও কাশিমপুরের রান্না করা খাবার বাসা থেকে দেওয়া বন্ধ করা হয়েছে জানান তিনি।

কারাগারে খাবারের মান নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে আইজি প্রিজন বলেন, আমরা এটা নিয়ে কাজ করেছি। কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি, বন্দিদের প্রাপ্যতা অনুসারে খাবারে যেন ছাড় দেওয়া না হয়। এখন খাবারের পরিমাণ নিয়ে খুব বেশি অভিযোগ পাবেন না। হ্যাঁ, রান্না নিয়ে অভিযোগ থাকতে পারে। কারণ আমাদের রাঁধুনিরা প্রফেশনাল কুক নন, বন্দিরাই রান্না করেন। যে কারণে স্বাদ নিয়ে কিছু কিছু অভিযোগ থাকতে পারে। কিন্তু পরিমাণ ও প্রাপ্যতা নিয়ে কোনো অভিযোগ নেই।

আইজি প্রিজন বলেন, তাদের (কারাবন্দি) একটি অভিযোগ আছে প্রোটিন নিয়ে। বন্দিদের মাথাপিছু ৩৬ গ্রাম প্রোটিন দেওয়া হয়। মাছ, মাংসের টুকরো হিসেবে এটি ছোট একটি পিস। এটা সরকারি বরাদ্দ। এখানে আমার কিছু করার নেই। কিন্তু সরকার এটি বাড়িয়ে ৫৪-৫৫ গ্রামে নিয়ে গেছে। এতে প্রোটিনের পরিমাণ বাড়বে।

কারাগারগুলোতে চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোতাহের হোসেন বলেন, আমাদের কারা অধিদপ্তরে লিস্টেড ডাক্তার আছে ১৪১ জন। এর মধ্যে কর্মরত আছেন ২ জন। এ ছাড়া সিভিল সার্জন থেকে ১০৩ জন নিয়োগপ্রাপ্ত আছেন, যারা প্রয়োজনে আসেন। তবে এটা আমাদের জন্য পর্যাপ্ত নয়। আমরা এটা নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এটি দ্রুত সমাধানের চেষ্টা করছি। আমাদের অ্যাম্বুলেন্সেরও স্বল্পতা আছে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর