রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৩৯ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
৩ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করলেন বেরোবি শিক্ষার্থী নগরফুলের এক দশক পূর্তি উৎসব উদযাপিত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী হলেন তাহমিনা আক্তার “৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডকে সীতাকুণ্ড নয়, চট্টগ্রাম-১০ এ রাখার দাবিতে মানববন্ধন” সেনবাগে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্টের পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সুপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ক্লিন সিটি গড়া হবে: ডা. শাহাদাত বড় পরিবর্তন এনে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালার খসড়া অনুমোদন মৌসুমের প্রথম ম্যাচ জয়ে রেকর্ড গড়ল রিয়াল মাদ্রিদ নেইমার–দি মারিয়ারা যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও

বর্ষসেরার খেতাব পেল দু’হাত হারানো মাহমুদের ছবি

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ১১২ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১২:৩৭ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর বর্ষসেরার খেতাব জিতেছে বর্বর ইসরায়েলের হামলায় দুই হাত হারানো গাজার এক বালকের ছবি। ফিলিস্তিনি আলোকচিত্রী সামার আবু এলুফ ছবিটি তুলেছিলেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমসে ছবিটি প্রকাশিত হয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, এবার ৫৯ হাজার ৩২০টি ছবি থেকে ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটোর ৬৮তম সংস্করণের বিজয়ী নির্ধারণ করা হয়েছে।

ছবিগুলো তুলেছেন ১৪১টি দেশের ৩ হাজার ৭৭৮ আলোকচিত্রী। দুর্দান্ত সব ছবির মধ্যে বর্ষসেরা হয়েছে গাজার সেই বালকের ছবি।

এতে দেখা যাচ্ছে, দুই হাত হারানো এক ফিলিস্তিনি বালক বিষণ্ন অবস্থায় দাঁড়িয়ে।

সিএনএনের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি ওই বালকের নাম মাহমুদ আজ্জোর।

তার বয়স ৯। তিন মাস আগে গাজা সিটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় হামলার শিকার হয় মাহমুদ। সেদিন এক বিস্ফোরণে তার একটি হাত উড়ে যায়, অন্যটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মাহমুদকে চিকিৎসা দিতে কাতারের দোহায় আনা হয়। সেখানে চিকিৎসা করালেও ক্ষতিগ্রস্ত হাতটি কেটেই ফেলতে হয়। সেখানে মাহমুদের ছবিটি তোলেন আলোকচিত্রী আবু এলুফ।

ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো অর্গানাইজেশনের প্রকাশিত বিবৃতিতে আলোকচিত্রী সামার আবু এলুফ বলেছেন, ‘মাহমুদের মা আমাকে সবচেয়ে কঠিন যে বিষয়টি বর্ণনা করেছেন, সেটি হলো— মাহমুদ যখন বুঝতে পারে তার দুই হাত কেটে ফেলা হয়েছে। তখন সে তার মাকে জিজ্ঞেস করেছিল এখন থেকে কীভাবে তাকে জড়িয়ে ধরবে। ’

ছবিটির সঙ্গে সংযুক্ত নোটে এ কথাগুলো লিখেছেন আবু এলুফ, যা নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত হয়েছে।

ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো এক্সিকিউটিভ পরিচালক জওমানা এল জেইন খৌরি বলেছেন, ‘এটি স্থিরচিত্র হলেও এটা উচ্চস্বরে কথা বলছে। এটি একটি বালকের গল্প বলে, সঙ্গে বলে একটি যুদ্ধের কথা। যেটির প্রভাব প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পড়বে। ’

জওমানা এল জেইন খৌরেই নন, সবার বক্তব্য একই। ছবিটি গাজা যুদ্ধের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষয়ক্ষতির স্পষ্ট স্মারক, যেখানে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল এবং গাজার বাসিন্দাদের বাস্তুচ্যুত করেছে দখলদাররা।

জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় অফিসের হিসাব অনুযায়ী, গাজায় নিহতদের মধ্যে প্রায় অর্ধেকই নারী ও শিশু।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর