সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ১০:২০ অপরাহ্ন

ফুসফুস ক্যান্সার থেকে যেভাবে সেরে ওঠেন শর্মিলা

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ৫ বার পঠিত
আপডেট : সোমবার, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫, ৭:২৬ অপরাহ্ণ

প্রথমবার নিজের ফুসফুস ক্যানসারের আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতের কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর। তখন সালটি ছিল ২০২৩।

এই খবরে ঠাকুর পরিবার যেমন ভেঙে পরেছিল তেমনি হতবাক হয়েছিল ভক্তরা। সৌভাগ্যবশত সেই মরণব্যাধি থেকে বেঁচে যান তিনি।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কিংবদন্তি শর্মিলার মেয়ে সোহা জানিয়েছেন, আমার সবচেয়ে বড় ভয় হলো প্রিয়জনদের অকাল মৃত্যু। জীবনের অন্য সব সমস্যা সামলানো যায়।

কিন্তু প্রিয়জনদের হারানোর ভাবনাটা আমাকে সবসময়ই তাড়িয়ে বেড়ায়।

এই ভয়টি এসেছে তার বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে, যখন তার মা শর্মিলা ঠাকুরের ফুসফুস ক্যানসার ধরা পড়ে।

সৌভাগ্যবশত সেটি ছিল ‘স্টেজ-জিরো’, অর্থাৎ একেবারে প্রাথমিক পর্যায়ে ছিল রোগটি। যদিও এই বিষয়টি নিয়ে আগেও কথা বলেছে ঠাকুরের পরিবার।

সোহার বলেছেন, মায়ের ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার সময়ে আমার পরিবারে অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমি এবং আমরা সবাই খুবই টেনশনের মধ্য দিয়ে কাটিয়েছি। মনে হচ্ছিল পরিবারটা আবার ভেঙে যাচ্ছে। কিন্তু ফুসফুস ক্যানসারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে জরুরি বিষয় হলো প্রতিরোধ ও প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা। ঈশ্বরের কৃপায় সেটা সম্ভব হয়েছিল সময়মতো। আর তাই আজ মা একদম ভালো আছেন।

তিনি বলেন, ‘আমার মা তাদের মধ্যে একজন, যাদের প্রাথমিক অবস্থায় ফুসফুস ক্যানসার ধরা পড়ে। তার চিকিৎসায় কোনো কেমোথেরাপি লাগেনি। শুধু অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সেটা কেটে ফেলা হয়। এখন তিনি পুরোপুরি সুস্থ!

চিকিৎসকরা বলছেন, স্টেজ-জিরো ফুসফুস ক্যানসার খুবই বিরল। এই অবস্থায় অস্বাভাবিক কোষগুলো শুধু ফুসফুসের ভেতরের আস্তরণে থাকে এবং শরীরের অন্য কোথাও ছড়ায় না। তাই দ্রুত শনাক্ত হলে চিকিৎসা তুলনামূলক সহজ এবং সফলতার হারও বেশি।

সোহা আলি খানের পরিবারে ফুসফুসজনিত অসুস্থতার ইতিহাস রয়েছে। তার বাবা, কিংবদন্তি ক্রিকেটার মানসুর আলি খান পতৌদি ২০১১ সালে তীব্র ফুসফুস সংক্রমণ ও শ্বাসকষ্টে মারা যান।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর