শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪২ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
নগরফুলের এক দশক পূর্তি উৎসব উদযাপিত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী হলেন তাহমিনা আক্তার “৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডকে সীতাকুণ্ড নয়, চট্টগ্রাম-১০ এ রাখার দাবিতে মানববন্ধন” সেনবাগে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্টের পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সুপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ক্লিন সিটি গড়া হবে: ডা. শাহাদাত বড় পরিবর্তন এনে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালার খসড়া অনুমোদন মৌসুমের প্রথম ম্যাচ জয়ে রেকর্ড গড়ল রিয়াল মাদ্রিদ নেইমার–দি মারিয়ারা যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও প্রথমবার জাতীয় পুরুষ দলের ম্যাচে নারী আম্পায়ার

ক্ষমতা একজন মানুষকে শয়তানে পরিণত করে : বাঁধন

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ১৩ বার পঠিত
আপডেট : বুধবার, ২০ আগস্ট, ২০২৫, ৫:১৭ অপরাহ্ণ

বিনোদন ডেস্ক:- চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে জোরালো ভূমিকা রেখেছিলেন আজমেরী হক বাঁধন। যার ফলে ৫ আগস্টের পর থেকেই সামাজিকমাধ্যমে একশ্রেণির সমর্থকের কাছে কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় বাঁধনকে।

এখনও সাইবার অ্যাটাকের মুখোমুখি হন এই অভিনেত্রী। বুধবার (২০ আগস্ট) ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন বাঁধন।

নিজের ফেসবুকে শেখ হাসিনার সঙ্গে হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি প্রকাশ করেছেন বাঁধন। যেখানে পুরস্কার হাতে দাঁড়িয়ে আছেন এই অভিনেত্রী।

তার চোখ-মুখে উচ্ছ্বাসের ঢেউ। আর তার সামনের চেয়ারে বসা শেখ হাসিনা বাঁধনের দিকে ফিরে হাসছেন।

বাঁধনের পাশে শোবিজ অঙ্গনের অনেক তারকাই দাঁড়িয়ে আছেন।

পোস্টের ক্যাপশনে বাঁধন লেখেন, লোকজন ভাবছে আমরা পরিকল্পনা করে একই রঙের পোশাক পরেছি। কারণ আমাদের পোশাকের রঙ একই ছিল। এ কথা শুনে তিনি হেসে ফেলেছিলেন। তার এই হাসি আমার ভালো লেগেছিল। কারণ এটি সত্যিকারের হাসি ছিল। সেই মুহূর্তে তাকে আমাদেরই একজন মনে হয়েছিল।

বাঁধনকে শেখ হাসিনার জীবনের গল্প অনুপ্রাণিত করেছিল। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, তার গল্প আমাকে অনুপ্রাণিত করেছিল: এক রাতে পুরো পরিবার হারিয়েছে, শরণার্থী হিসেবে বেঁচে ছিলেন। তারপর ফিরে আসেন সেই দেশে- যে দেশ তার সবকিছু কেড়ে নিয়েছিল। এমন সাহস খুব কম দেখা যায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমি দেখেছি কীভাবে ক্ষমতা একজন মানুষকে একদম বদলে দিতে পারে- একজন শয়তানে পরিণত করতে পারে।

শেখ হাসিনার সঙ্গে হাসার কারণ ব্যাখ্যা করে বাঁধন বলেন, এবার মজার একটি কথা বলি- আমি তার সঙ্গে হেসেছিলাম, তার মানে এই না যে, আমি পরেরবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে যাচ্ছি! আমার প্রিয় বিএএল সদস্যরা, আপনারা এত ভয় পাচ্ছেন কেন? আমি সচেতনভাবে কথা বলি! আমি আমার দেশের মানুষের পক্ষে দাঁড়াই! আমাকে নিয়ে কেন এত ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন? আমি জানি, আপনারা হয়তো আর কখনো রাজনীতিতে ফিরবেন না। কিন্তু আপনারা এখনো মানবিক হতে পারেন।

সত্যিকারের একজন নেতা ও মানুষ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বাঁধন বলেন, সেই দপ্তরের প্রধানকে জিজ্ঞাসা করুন, যারা ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট দেন- ২০২৪ সালের নির্বাচনে তারা আমাকে কী প্রস্তাব দিয়েছিলেন। এই পৃথিবীতে অনেকেই অমানবিক হয়ে গেছেন, সেখানে মানবিক থাকা কঠিন। কিন্তু চেষ্টা তো করা যায়। সত্যিকারের একজন নেতা হোন। একজন মানুষ হোন।

বেশ কিছু প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বাঁধন বলেন, আপনারা আমাকে সামাজিকমাধ্যমে আক্রমণ করেছেন? এই দেশের নারীদের সঙ্গে আপনারা এটাই করেন। যা ইচ্ছা করেন। আপনি বিজয়ী হয়েছেন। আপনাকে অভিনন্দন। কিন্তু আমাকে আক্রমণ করা ছাড়া আপনার আর কী করার আছে? না কি আপনারা ঠিক করেছেন, যার চরিত্র সবচেয়ে খারাপ, সেই-ই হবে আপনাদের সংসদ সদস্য, যদি আপনারা ক্ষমতায় যান?

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর