নিজস্ব প্রতিনিধি : আবারো মামলা কাধে উঠলো নগর ছাত্রদলের বিতর্কিত ও সদ্য বহিষ্কিত ছাত্রদল নেতা সৌরভ প্রিয় পাল সহ আরো দুই জনের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১২ আগষ্ট বুধবার) চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন আদালত – ৩ এ হুকমি ধামকি মানহানির অভিযোগ এনে মামলাটি দায়ের করে দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনের ষ্টাফ রিপোর্টার ও চট্টগ্রাম নগর জন্মষ্টমির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রানা নাহা।
মামলার আসামীরা হলে জাস এক্সোসরিস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো,আব্দুল ওয়াজেদ সোহেল,নগর ছাত্রদলের বিতর্কিত ও বহিষ্কিত ছাত্রদল নেতা সৌরভ প্রিয় পাল ও মো,হেলাল।
মামলার এজাহারে দেখা যায়,সাংবাদিক রানা নাহা সরকারী সিটি কলেজ থেকে ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে টানা ১০ বছর সাংবাদিকতা পেশায় জড়িত আছেন,পেশা গত জীবনে বাংলাধারা, দৈনিক সুপ্রভাত বাংলাদেশ, আলোকিত চট্টগ্রাম সহ দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিনে টানা ৫ বছর কর্মরত আছেন।
চলতি মাসের পহেলা আগষ্ট দুপুর ৩ টা মিনিটে পাহাড়তলী থানাধীন কর্ণেল জোন রোড়ে জাস কক্সোসরিস বাংলাদেশ লিমিটেড নামক একটি প্রতিষ্টানে সাংবাদিকতা নীতিমালা অনুযায়ী তার সংবাদের সঠিকতা যাচাইয়ের জন্য প্রতিষ্টানের বে আ আইনি ও অনুমোদন বীহিন পলিথিন উৎপাদন ব্যবহার ও বিক্রয় করেছেন এই মর্মে সংবাদের সঠিকটা জানতে চাইলে মামলার ১ নম্বর আসামী জাস এক্সোসরিস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওয়াজেদ সোহেল বলেন,তিনি নিজের ও একজন সাংবাদিক,তার অনুমতি কি চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অফিস থেকে নিতে হবে,এই বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।
বক্তব্য নেওয়ার দুই ঘন্টা পর সাংবাদিক রানা নাহার মুঠোফোনে কল করেন মামলার ৩ নম্বর আসামী মো,হেলাল। তিনি বলেন আপনি আমার মালিক থেকে এক কোটি টাকা চাদা চেয়েছেন,আপনি আওয়ামীলীগের দোসর, আপনাকে দেখে নিব। তখন প্রতিবেদক বলেন,আপনার মালিকের সাথে কথাবার্তার সব রেকর্ড আমার কাছে আছে,আপনাদের কাছে যদি চাদাবাজীর কোন প্রমাণ থাকে আপনারা আইন আনুক ব্যবস্থা নেন।
এ ঘটনার তিন দিন পর ৩ ই আগষ্ট বাংলাদেশ গার্মেষ্টস এক্সোসরিস সংগঠনে জাস এক্সোসরিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল ওয়াজেদ সোহেল চট্টগ্রাম প্রতিদিনের প্রতিবেদক রানা নাহা বিরুদ্ধে চাদাবাজীর অভিযোগ এনে একটি অভিযোগ দেন। তিনি দেখালে উল্লেখ করেন সাংবাদিক রানা নাহা তার মুঠোফোনে কল করে বিভিন্ন কথা তুলে ধরে তার প্রয়োজন মেটাতে বলেন।
গত ৬ ই আগষ্ট এই অভিযোগের কপি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেবুবুকে শেয়ার করেন বিতর্কিত ও বহিষ্কিত যুবদল নেতা ও মামলার ২ নম্বর আসামী সৌরভ প্রিয় পাল।
তিনি তার ফেসবুকে লিখেন,চাদাবাজ নিউজ পোর্টালের কাজ দেখেন,এ রকম শত শত অভিযোগ চাদাবাজীর চট্টগ্রাম প্রতিদিনের বিরুদ্ধে। ব্যাক্তি লক্ষ করে চাদাবাজী ছাড়া এই পোর্টালের কোন এজেন্ড নাই এই মর্মে ষ্ট্যাটাস দেন যা বাদী ও তার প্রতিষ্টানের নান মর্যাদাকে চরম্ভাবে ভুলন্ঠিত করেছে বলে অভিযোগ তুলেন সাংবাদিক রানা নাহা।
জানতে চাইলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনের সাংবাদিক ও নগর জন্মষ্টমি উদযাপন পরিষদের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সাংবাদিক রানা নাহা বলেন,আমি আমার সাংবাদিকতার নীতিমালা অনুযায়ী তার সঠিকতা ও যর্থাথতা যাচাইয়ের জন্য জাস এক্সোসরিস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালককে ফোন করি। কিন্তু তার তার বক্তব্য না দিয়ে আমি যাতে নিউজ করতে না পারি আমাকে ভাড়াটে গুন্ডা দিয়ে মুঠোফোনে কল করে চাদাবাজ ও আওয়ামীলীগের দোসর বলেন এবং দেখে নেওয়ার হুকমি দেন। এছাড়া আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করে সেই অভিযোগের কপি ফেসবুকে আমাকে ও আমার প্রতিষ্ঠান কে চাদাবাজ উল্লেখ করে ফেসবুকে পোস্ট করেন বিতর্কিত ও বহিষ্কিত যুবদল নেতা সৌরভ প্রিয় পাল। বর্তমানে আমি নিরাপত্তা হীনতায় আছি।