সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ০৯:০২ অপরাহ্ন

আজ ৫ জুলাই,ছাত্র জনতার তোপের মুখে পড়ে দেশ ছাড়ে শেখ হাসিনা।

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ২৪২ বার পঠিত
আপডেট : মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট, ২০২৫, ৩:৫৩ অপরাহ্ণ
আজ ৫ জুলাই,ছাত্র জনতার তোপের মুখে পড়ে দেশ ছাড়ে শেখ হাসিনা।
আজ ৫ জুলাই,ছাত্র জনতার তোপের মুখে পড়ে দেশ ছাড়ে শেখ হাসিনা।

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে দেশে প্রথম আন্দোলন গড়ে ওঠে ২০১৩ সালে। এরপর ২০১৮ সালেও আন্দোলন হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। আন্দোলনের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাগ করে পুরো কোটা পদ্ধতিই বাতিল করে দেন।

কিন্তু এক রিটের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৫ জুন সেই পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের সেই রায়ের পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলেন তারা। একপর্যায়ে কারফিউয়ের মধ্যেই আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায় বাতিল করে কোটা ব্যবস্থার নতুন বিন্যাস ঠিক করে দেন।

এরপর সরকার গেজেটও জারি করে। কিন্তু ততদিনে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলন রূপ নেয় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে। শেষ পর্যন্ত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ থেকে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ। আর সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত নিয়ে অন্তর্বতী সরকারকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।

কোটা বাতিলে ২০১৩ সালে আন্দোলন

বিসিএস পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারীদের জন্য ১০ শতাংশ, জেলাগুলোর জন্য ১০ শতাংশ, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য ৫ শতাংশ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য ১ শতাংশসহ মোট ৫৬ শতাংশ আসন সংরক্ষিত ছিলো। এতে মাত্র ৪৪ শতাংশ পরীক্ষার্থী মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেতেন। ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের একটি বড় অংশের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়।

২০১৩ সালে ‘মেধা মূল্যায়ন মঞ্চ’ নামে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আব্দুর রহিম এই কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়ে আন্দোলনকারীরা ৩৪তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল পুনঃমূল্যায়ন এবং সব পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবি জানায়।

ওই বছরের জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন প্রথমে শাহবাগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে বিক্ষোভ করেন। কিন্তু পুলিশের দমন-পীড়ন ও ছাত্রলীগের হামলার মুখে সফলতার মুখ দেখেনি সেই আন্দোলন।

২০১৮ সালে প্রথম বড় আন্দোলন

কোটা বাতিলের দাবিতে ২০১৩ সালের আন্দোলনের পরও বেশ কয়েকবারই মিছিল, মানববন্ধনসহ বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা চলছিল। তবে তা ছিল খুবই সীমিত আকারে। কোটা নিয়ে আন্দোলন প্রথমবারের মতো বড় আকারে রূপ নেয় ২০১৮ সালে। ওই বছরের ৩১ জানুয়ারি সরকারি চাকরিতে কোটা প্রথা বাতিল এবং এর পুর্নমূল্যায়ন চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্র ও দুই সাংবাদিক। এতে কোটা পদ্ধতিকে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলেও উল্লেখ করা হয়। কিন্তু মার্চ মাসে এসে ওই রিটটি খারিজ করে দেন সর্বোচ্চ আদালত।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর