মো: আল-আমিন, পঞ্চগড় সংবাদদাতা : ইউনিয়ন পরিষদের বিবিধ পণ্য পরিবহনের উপর পারমিট ফিস ও পশু জবাই আদায় খাত ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে এক বছরের জন্য ইজারা দিতে দরপত্র আহ্বান করেছেন পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার ১ নং বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। সিডিউল দরপত্র আহব্বানের পর নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে ১২ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে শিডিউল দরপত্র বিক্রি করেছে ইউনিয়ন পরিষদ কর্তৃপক্ষ । এই সিডিউল গুলো স্থানীয় বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের ব্যক্তিরা কিনেন।
স্থানীয়রা বলেন, বিগত সরকারের সময়ে এভাবে প্রকাশ্যে মাইকিং করে শিডিউল দরপত্র বিক্রি করার বিজ্ঞাপন কখনো দেখেনি। সরকার পতনের পর থেকে এই প্রথম বাংলাবান্ধা ইউনিয়নে প্রকাশ্যে শিডিউল দরপত্র বিক্রি করার নজির। তারপরেও কিছু কু-চক্রি একটা মহল এই সিডিউল বন্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছে। অপর দিকে এই সিডিউল বন্ধ করার জন্য বাংলাবান্ধা ইউনিয়নের স্থানীয় ব্যক্তি সাহিদুল ইসলাম বাদি হয়ে পঞ্চগড় বিজ্ঞ সহকারী জজ আদালতে একটা মামলা দায়ে করেন।
মামলার বাদী সাহিদুল ইসলাম বলেন, এই দরপত্র বিজ্ঞপ্তির বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। কোন প্রকার প্রচার-প্রচারনা তারা করেননি ইউনিয়ন পরিষদ। আমি বর্তমান ইজারাদার হওয়াই আমাকে কোন প্রকার নোটিশ করেনি ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ইউপি সচিব। শেষ সময়ে আমি জানতে পারি বিবিধ পণ্য পরিবহনের উপর পারমিট ফিস আদায়ের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। তবে আমি সিডিউল দরপত্র কিনি নাই। আদালতের মাধ্যমে আমি দরপত্র কেনার জন্য মামলা করেছি।
সিডিউল ক্রেতা মো: রাসেদ, নকিকুলসহ আরো ১০ জন ব্যক্তি জানান, আমরা বিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং এর মাধ্যমে জানতে পারি এই ইউনিয়ন পরিষদে বিবিধ পণ্য পরিবহনের উপর পারমিট ফিস ও পশু জবাই আদায় খাত ২০২৫-২০২৬ অর্থ বছরে এক বছরের জন্য ইজারা দিতে দরপত্রের আহব্বান করেন। তারপরে আমরা নিয়ম অনুসারে সিডিউল ক্রয় করেছি। সিডিউল ড্রপের দিনে জানতে পারি সাহিদুল নামে এক ব্যক্তি মামলা করেছে। কেন করেছে কি কারণে করছে তা আমাদের জানা নেই । আমরা চাই এই সিডিউলের বিজ্ঞপ্তি যেন পুর্ণবহাল থাকে। যদি পুর্নবহাল না থাকে বৃহৎ আন্দোলনের হুশিয়ারি দেন তারা।
ইউনিয়র পরিষদের সচিব মো: মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুসারে দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছি। কে সিডিউল ক্রয় করবে, কে করবে না এটা দেখার দায়িত্ব আমাদের না। যে ব্যক্তি মামলা করেছে তিনি সিডিউল ক্রয় করতে আসেননি। সিডিউল ক্রয় না করে বরং তিনি কোর্টে মামলা করেছেন। আমরা এটার কোর্টে জবাব দিব।
প্রশাসকি কর্মকর্তা নবিউল করিম সরকার বলেন, প্রকাশে বিজ্ঞপ্তি ও মাইকিং করা হয়েছে শিডিউল দরপত্র বিক্রিও করার উদ্দেশ্যে। নিয়মের কোন ঘাটতি নেই। অথচ সাহিদুল নামে এক ব্যক্তি মামলা করেছে। এটা কোর্টের মাধ্যমে জবাব দিয়ে পুনরায় কার্যক্রম চালু করা হবে।