রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
৩ পৃষ্ঠার চিঠি লিখে প্রেমঘটিত কারণে আত্মহত্যা করলেন বেরোবি শিক্ষার্থী নগরফুলের এক দশক পূর্তি উৎসব উদযাপিত ডাকসু নির্বাচনে ভিপি প্রার্থী হলেন তাহমিনা আক্তার “৯ ও ১০ নং ওয়ার্ডকে সীতাকুণ্ড নয়, চট্টগ্রাম-১০ এ রাখার দাবিতে মানববন্ধন” সেনবাগে স্বেচ্ছাসেবক দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‍্যালী চট্টগ্রাম সিটি রেড ক্রিসেন্টের পারিবারিক যোগাযোগ পুনঃস্থাপন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত সুপরিকল্পিত বর্জ্য ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ক্লিন সিটি গড়া হবে: ডা. শাহাদাত বড় পরিবর্তন এনে মিউচ্যুয়াল ফান্ড বিধিমালার খসড়া অনুমোদন মৌসুমের প্রথম ম্যাচ জয়ে রেকর্ড গড়ল রিয়াল মাদ্রিদ নেইমার–দি মারিয়ারা যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন, জাতীয় দলের ক্রিকেটাররাও

সৌদি ভূখণ্ডে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনে নেতানিয়াহুর পরামর্শ, ক্ষুব্ধ রিয়াদ

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ৮৮ বার পঠিত
আপডেট : বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫, ৩:৫৬ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:-মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, আরব দেশগুলো গাজা থেকে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের পরিকল্পনা একেবারেই মেনে নেবে না।

ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে বৈঠকে তিনি বলেন, ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূখণ্ডেই থাকতে দিতে হবে এবং গাজার পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত করতে হবে।

মিশরের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, গাজায় মানবিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি, তবে কোনোভাবেই ফিলিস্তিনিদের তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে যেতে বাধ্য করা যাবে না

অন্যদিকে, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর ট্রাম্পের পরিকল্পনার নাম সরাসরি না নিলেও, রুবিও গাজার ভবিষ্যৎ শাসন ও নিরাপত্তা নিয়ে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার ওপর জোর দেন।

তিনি বলেন, হামাসকে গাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেওয়া যাবে না এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।

আবদেলাত্তি জানান, মিশর নতুন মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, তবে সেটি অবশ্যই ফিলিস্তিনিদের অধিকার ও মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা রক্ষার ভিত্তিতে হতে হবে।

তিনি মার্কিন মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গেও বৈঠক করেন এবং একই বার্তা দেন।

ফিলিস্তিনিরা গাজাকে তাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের অংশ হিসেবে দেখে, তাই তাদের জন্য গাজা ছাড়ার প্রস্তাব একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।

আরব প্রতিবেশী দেশগুলোও এই বিষয়টি পরিষ্কার করেছে যে, তারা গাজার সংঘাতের কারণে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের নিজেদের দেশে আশ্রয় দিতে রাজি নয়।

ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রথমে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে মিশর ও জর্ডান যেন গাজার ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ করে। পরে তিনি আরও এগিয়ে গিয়ে গাজার ওপর মার্কিন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ঘোষণা করেন, যেখানে ফিলিস্তিনিদের নিজ দেশে ফেরার কোনো অধিকার থাকবে না। এই পরিকল্পনা বিশ্বজুড়ে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে। মানবাধিকার সংগঠন ও জাতিসংঘ এটিকে জাতিগত নির্মূলের চেষ্টা হিসেবে দেখছে।

এই বৈঠক এমন এক সময়ে হলো, যখন যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর রাখার প্রচেষ্টা বাধার সম্মুখীন হয়েছে, কারণ হামাস জিম্মি মুক্তির ব্যাপারে বিলম্ব করছে।

এদিকে, মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ট্রাম্পের এই পরিকল্পনাকে “একটি অবিচার” বলে আখ্যা দিয়েছেন। কায়রোতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মিশর, জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও কাতারের শীর্ষ কূটনীতিকরা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানান্তরের বিরুদ্ধে একজোট হয়েছেন।

জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আব্দুল্লাহও ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন এবং জানিয়েছেন যে, পুরো আরব বিশ্ব ফিলিস্তিনিদের পাশে রয়েছে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর