শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
সেনবাগে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।  ফেনী নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, রকেট ল্যান্সারের আগুনে পুড়ল বসতঘর পুলিশ পাহারায় খাগড়াছড়ি ছেড়েছেন জেলার আকতার হোসেন   সুষ্ঠ নির্বাচনের মধ্যেমে যে দল ক্ষমতায় আসবে তারাই দেশ চালাবেন – জয়নুল আবদিন ফারুক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের কোনো সুযোগই দেখছেন না পন্টিং আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে যাচ্ছি: শান্ত ‘শাহরুখ খানের সাক্ষাৎকার নিতে চাই’ সিনেমা হলে আবেগে ভাসলেন শতাধিক রিকশাচালক তসলিমা নাসরিনকে যে সতর্কবার্তা দিলেন মামুনুল হক খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে যা জানালেন জাহিদ হোসেন

জমজমের নামে ট্যাপের পানি বিক্রি।

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ২১ বার পঠিত
আপডেট : সোমবার, ১৩ জানুয়ারি, ২০২৫, ১:৩১ অপরাহ্ণ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:-তুরস্কে ট্যাপের পানি বোতলে ভরে একে পবিত্র মক্কার পবিত্র জমজম কূপের পানি বলে বিক্রি করছিলেন এক ব্যক্তি। আর এভাবেই তিনি ৯ কোটি তুর্কি লিরা (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৩০ কোটি টাকা) আয় করেছেন।

প্রতারকের নাম বিলাল। তবে তার এই প্রতারণা অবশেষে ধরা পড়েছে।

স্থানীয় সময় রোববার (১২ জানুয়ারি) বিলালকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার ব্যবসাকেন্দ্র থেকে ১৫ হাজার লিটার ট্যাপের পানিও উদ্ধার করা হয়েছে।

এই পানি তিনি ‘জমজমের পানি’ হিসেবে বিক্রির জন্য মজুত করেছিলেন।স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে এসব তথ্য জানিয়েছে।

রোববার প্রকাশিত সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, প্রতিদিন ২০ হাজার লিটার ট্যাপের পানিকে বোতলে ভরে ‘জমজমের পানি’ নামে বিক্রি করতেন তিনি, যা থেকে প্রতিদিন ৬ লাখ লিরা (২২,০০০ ডলার) আয় করত।

২০ টন করে ‘জমজমের পানি’ বিক্রি করতেন এবং দৈনিক তার আয় হতো ৬০ হাজার লিরা, বাংলাদেশি মুদ্রায় ২০ লাখ ৭৭ হাজার ৩১৪ টাকা। গত ৫ মাস ধরে প্রতিদিনই এই আয় হতো তার।

পুলিশের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবাবে বিলাল জানিয়েছেন, দক্ষিণ তুরস্কের আদানায় অবস্থিত তার গুদামে ট্যাপ থেকে পানি জার ও বোতলে ভরা হতো এবং জমজম কূপের পানির লেবেল লাগানো হতো। দেখে বোঝার উপায় নেই এগুলো নকল। ইস্তাম্বুল, আঙ্কারাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্রি হতো তার এই পানি।

তার তথ্য মতে, পুলিশ গুদামে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাঁচার লিটার সাধারণ ট্যাপের পানি উদ্ধার করে। এবং নকল লেবেল উদ্ধার করে। লেবেলগুলোতে আরবি ভাষায় লেখা ছিল, পণ্যটি সৌদি আরব থেকে আসা জমজমের পানি। পরে পুলিশ সেই গুদামকে সিলগালা করে দেয়।

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের কাছে জমজমের পানি অতি পবিত্র। হাজিরা হজ শেষে জমজমের পানি সঙ্গে নিয়ে আসতে ভোলেন না। অন্যান্য ইসলামপ্রধান দেশের মতো তুরস্কেও জমজমের পানির চাহিদা বেশি। বিশেষ করে রমজানে ও বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যেখানে দেশের বিভিন্ন বাজার এবং দোকানে জমজমের পানির বোতল ব্যাপকভাবে পাওয়া যায়।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর