কে এইচ মহসিনঃ- বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের সুনামধান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চাম্বি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
শিক্ষা, সাংস্কৃতি, খেলাধুলা সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬০ সালে গুটিকয়েক শিক্ষানুরাগী ব্যক্তির হাতে গড়া বিদ্যালয়। ৩০৭ নং চাম্বি মৌজার ১৮ নং খতিয়ানের দাগ নং ১৯২,১৯৩ দাগাদির আন্দর ০.৯৮ শতক জমির উপর তৈরি করা হয়েছিল বিদ্যালয়টি।
যুগের পরিবর্তনের সাথে তালমিলিয়ে আজ বহুতল ভবনে ভরপুর বিদ্যালয়টি। বহুতল ভবন আর শিক্ষকের পরিবর্তন হলেও বিদ্যালয়ের জমির উপর নির্মিত পাকা, সেমিপাকা জবর-দখলকৃত দোকানঘরগুলো আজও দখলবাজদের দখলে।
দখলকৃত জমি উদ্ধারের জন্য প্রধান শিক্ষক মরহুম ইকবাল আহসান সাহেব বাদী হয়ে ৯৬/৯৭ সালে একটি বে-দখল উদ্ধারের মামলা করেন। তিনি মারা যাওয়ার পর বর্তমান দায়িত্বরত প্রধান শিক্ষক সাবিনা ইয়াসমিন মামলা পরিচালনা করে আসছিলেন। ভাগ্যের পরিহাস, রাজনৈতিক অকপট, আর বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির রোষানলে শেষ পর্যন্ত মামলাটি বিজ্ঞ আদালত খারিজ করে দেয়। সভাপতির নেত্রীত্বে তৈরি করা হয় দোকান।
হাল ছাড়েনি বর্তমান প্রধান শিক্ষক, বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারের জন্য তাহার তদবির চলছে বিভিন্ন দপ্তরে। উপজেলা, জেলা শিক্ষা অফিস, প্রশাসনিক কর্মকর্তাসহ সকলেই বিষয়টি অবগত আছেন- কিন্তু সবাই যেন দখলবাজদের কাছে জিম্মি। তাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমি দখলবাজদের হাত থেকে উদ্ধার করে প্রতিষ্ঠানের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া এলাকার জনগণ ও প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন প্রধান শিক্ষক।
উক্ত বিষয়ে প্রধান শিক্ষক বলেন- বিদ্যালয়ের প্রায় ০.৩০ শতক জমি দখলদারদের হাতে। তাহারা দোকান তৈরি করে তাতে ব্যবসা করছে। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ১,২০০ বারো শ,জন। ছাত্র-ছাত্রীর তুলনায় শ্রেণি কক্ষ সংকট। জমিটি উদ্ধার করিতে পারিলে তাতে নতুন ভবন নির্মাণ করে ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণি কক্ষ করা যেত। দখলদারদের ৩/৪ জন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সামান্য ভাড়া দিত কিন্তু ৮/৯ বছর থেকে আর কোনো ভাড়া দেয়নি বলে জানা জানায় প্রধান শিক্ষক। বাকিরা কখনও ভাড়া দেয়নি।
দখলদার দোকান মালিকগণ বলেন- আমরা পূর্বে বিদ্যালয়কে কিছু মাসিক ভাড়া হিসেবে টাকা দিতাম, সভাপতি টাকা দিতে নিষেধ করায় টাকা দিচ্ছি না। সিদ্ধান্ত হলে আবার টাকা দিবো।