মো: মোস্তফা : ঢাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আহসানুল ইসলাম দীপ্তের মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভাঙচুর ও হামলার কোনো সম্পর্ক নেই বলে তার পরিবার ও বন্ধুরা দাবি করেছেন। তাদের অভিযোগ, দীপ্তকে প্রায় ৯ ঘণ্টা বিনা চিকিৎসায় জরুরি বিভাগে ফেলে রাখা হয়েছিল, যার ফলেই তার মৃত্যু ঘটে। গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সোমবার আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং দায়ীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউবিটি)-এর সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী দীপ্ত, গত ৩০ আগস্ট কুর্মিটোলায় এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন। তার বন্ধুরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার পর দুর্বৃত্তরা দীপ্তের মানিব্যাগ ও মোবাইল ফোন চুরি করে। নিলয় নামে একজন পথচারী তাকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। মাথায় রক্তক্ষরণ বন্ধে জরুরি অস্ত্রোপচার প্রয়োজন হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢামেকে আইসিইউ সেবা পেতে ৭ হাজার টাকা দাবি করা হয়েছিল। কিন্তু অর্থের অভাবে এবং স্বজনদের অনুপস্থিতিতে দীপ্তকে কোনো চিকিৎসা দেওয়া হয়নি; বরং তাকে জরুরি বিভাগের মেঝেতে ফেলে রাখা হয়। পরদিন সকালে বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু ঘটে, যা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক ও অমানবিক ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
দীপ্তের বাবা শহীদুল ইসলাম মাজু এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “আমার ছেলের মৃত্যু কোনো দুর্ঘটনা নয়, বরং এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। আমরা এর সঠিক তদন্ত ও ন্যায়বিচার দাবি করছি।” তিনি সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান, যেন এই ঘটনার প্রকৃত সত্য উদঘাটন এবং দায়ীদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করা হয়।