খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি: বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এর মহা পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, দেশের সিমান্ত সুরক্ষায় বিজিবির প্রত্যেক সদস্য অতন্দ্র প্রহরীর মতো দায়িত্ব পালন করে আসছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে সিমান্ত এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিজিবি মহা পরিচালক শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় খাগড়াছড়ির রামগড় আন্তর্জাতিক পেসেঞ্জার টার্মিনালের বিজিবির ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট আইসিপি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং কালে উপরোক্ত কথা বলেন।
বিজিবি মহা পরিচালক আরো বলেন, আইপিটি ও আইসিপি চালু হওয়ার পর এই পার্বত্য জনপদের অর্থনৈতিক ধারা অনেক বিস্তৃত হবে। আইসিপি চালু হবে তখন থেকে পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ঘটবে। বাংলাদেশ ভারত দুই দেশের অর্থনীতিতে আরো গতিশীলতা আসবে। পার্বত্য অঞ্চলকে করবে সমৃদ্ধ।
বিজিবি মহা পরিচালক সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, রামগড় সিমান্ত অংশে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। রামগড় স্থলবন্দর চালু হওয়ার পর বাণিজ্যের নতুন মার্তা যোগ করবে বলে আশা করি। আইসিপি পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহা পরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সেতু পরিদর্শন করেন এবং চলমান কার্যক্রম সম্পর্কে স্থলবন্দর সংশ্লিষ্ট বিজিবির ব্রিফিং শুনেন।
এসময় বিজিবির অতিরিক্ত মহা পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, দক্ষিণ পূর্ব রিজিওন কমাণ্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজেদুর রহমান, গুইমারা সেক্টর কমান্ডার
কর্ণেল এসএম আবুল এহসান, রামগড় জোন অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ ইমাম হোসেনসহ গুইমারা সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর পর বিজিবি মহা পরিচালক রামগড় সিমান্তবর্তী এলাকায় বিজিবির সূতিকাগারে স্মৃতি বিজড়িত মনোমেন্ট পরিদর্শন করেন এবং রামগড় রাইফেলস এর অভিবাদন গ্রহণ করেন। তিনি মুক্তি যুদ্ধে শহীদ বিজিবি সদস্যদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার নিহত পরিবার পরিজনের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এর পর বিজিবি মহা পরিচালক বিজিবি রামগড় জোনের পক্ষ থেকে এলাকার দুস্থ অসহায় দুইশত পরিবারের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করেন।