ইজাজুল উত্তরা প্রতিনিধিঃ ঢাকা ১৮ আসনে বেশকিছু এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রাজনৈতিক প্রভাবশালী মহলের কবজায় বন্দি। এডহক মিটির নামে আধিপত্য বিস্তার করেছে মহলটি।
নীতিমালা অনুযায়ী এডহক কমিটি হল এমন একটি বিশেষ কমিটি যেটা কোন একটি বিশেষ উদ্দেশ্য সাধন করার জন্য গঠন করা হয়।
কার্য সম্পাদন হওয়া অথবা কমিটির উদ্দেশ্য সফল হওয়ার পর এডহক কমিটির কোনো অস্তিত্ব থাকে না, এটাকে বিলুপ্ত করে দেয়া হয়। standing committee বাদে মোটামুটি সকল কমিটি এডহক কমিটি হিসেবে গঠিত হয়।
আর এই কমিটির মেয়াদ সাধারণত ৩-৬ মাস হয়। ঢাকা ১৮ আসনের এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির চিত্র অন্য রকম।
আওমীলীগের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারকদের মধ্যে উন্নতম বলিষ্ঠ নেতা এ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন এমপির মৃত্যুর পর আসনটিতে উপ-নির্বাচনে নগর আওয়ামী লীগের বলিষ্ঠ নেতা যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব হাবিব হাসান নৌকা প্রতিকে নির্বাচিত হন।
সূত্র মতে ঐ নিবর্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে হাবিব হাসান ৭৫ হাজার ৮২০ ভোট পেয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৫ হাজার ৩৬৯ ভোট।
এমপি হবার পরপরই নিজের আধিপত্য বিস্তার ও সার্থহাসিলে বাই ম্যান পলিটিক্সকে কাজে লাগিয়েছেন।
২০২০ সালেই অত্র আসন টির
উত্তরা নয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ, কুর্মিটলা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, উত্তরা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ সহ আরও বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির নামে এমপির বাইম্যান ডুকিয়ে প্রতিষ্ঠান গুলো কবজা করে রাখা হয়। উঠে আসে নানা অনিয়মের অভিযোগ। এর মধ্যে কুর্মিলা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ এর এডহক কমিটির সভাপি আসলাম উদ্দিন, নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ এর এডহক কমিটির সভাপতি মতিউল হক( মতি) উত্তরা গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ এর কমিটিতে সাবেক এমপির ভাগিনা নুরুল উল্লেখযোগ্য।
নানাবিধ অনিয়ম এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের বিবিন্ন বাৎষরিক অনুষ্ঠান, প্রতিষ্ঠানের কেনা কাটা বাবদ আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আছে এডহক নেতাদের উপর। নওয়াব হাবিবুল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজ এর মূল দুটি ফরটকের মধ্যে একটি ফটক বন্ধ করে রোডের সামনে ১৪- ১৫টি দোকান বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে এমপিও ভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল ব্যায় সরকার করে। একাধিক শিক্ষর্থীর অভিভাবক দিগন্তের বার্তা নিউজ কে প্রশ্নতুলে বলেন,
কেনই বা স্কুলের ফটক বন্ধ করে দোকান বরাদ্দ দেওয়া হবে?। খিলক্ষেত আর এক প্রশ্নবিধ আওয়ামী লীগের নেতা আসলাম উদ্দিন এর কবজায় কুর্মিটল স্কুল ও কলেজ এখানে আওয়ামী লীগ নেতার বিয়ে অনুষ্ঠান, বিদ্যালয়ের মাঠ সংস্কার বিভিন্ন বাৎষরিক অনুষ্ঠান কেনা কাটা, পিকনিক সহ রমরমা অবস্থা এডহক কমিটি। বছর কে বছর পারহলেও এডহক কমিটির দৌরাত্ম থেমে নেই
তথ্য সূত্রে জানা যায় এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠানের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করে থাকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর। এই অধিদপ্তরের ৪০টি তদন্ত রিপোর্ট পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এর মধ্যে অন্তত ৩৫টি প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের মূল কারণ গভর্নিং বডি, ম্যানেজিং কমিটি ও এডহক কমিটি। অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি