ইজাজুল উত্তরা প্রতিনিধিঃ আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সারা দেশের ন্যায় ঢাকা ১৮ আসনেও এমপি প্রার্থীদের জনসংযোগ ও প্রচার প্রচারণায় নির্বাচনী হাওয়া বইছে।
তবে অন্য আসন গুলির চেয়ে এই আসনে চোখ রাখছে দেশবাসী।
আওয়ামী লীগের হাইকমান্ডের নির্দেশে নৌকা প্রতিক নিয়ে লড়ছেনা অত্র আসনের নেতা কর্মীরা।
এ আসনে জাতীয় পার্টি থেকে শেরিফা কাদের কে জোটগত সুবিধা দেওয়া হয়েছে। উল্লেখ এ আসনটিতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড নগর আওয়ামী লীগের বলিষ্ঠ নেতা আলহাজ্ব হাবিব হাসান কেই নৌকা প্রতিক দেওয়া হয়। জাতীয় পার্টিকে আসনটি জোটগত রাজনৈতিক কৌশলে সমর্থন দেওয়ার নৌকা থাকছেনা।
তবে সতন্ত্র পার্থী তালিকায় একাধিক প্রার্থী মাঠ চসে বেড়াচ্ছে।
ঢাকা উত্তর মহানগর আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক ও দক্ষিণ খানের ঐতিহ্য বাহী চেয়ারম্যান বাড়ির কর্নধার, অত্র ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সফল চেয়ারম্যান বীর মুক্তি যোদ্ধা এস এম তোফাজ্জল হোসেন সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ট্রাক মার্কা নিয়ে মাঠে আছেন।
অপরদিকে অবহেলিত
ঢাকা ১৮ আসনের কতিপয় এলাকার সমস্যা সমাধানে ঠ্রাক মার্কার বিজই নগর বাসীর কাছে সমাজ সেবক ঐতিহ্য বাহী চেয়ারম্যান বাড়ির দ্বাবি হিসাবে দেখছেন।
অত্র আসনটিতে ১৪টি ওয়ার্ড ৭ টি থানা রয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটিকর্পোরেশন ভূক্ত ওয়ার্ড গুলি ব্যাহাল অবস্থা। তবে নগর ভাবনা এক জন বীর মুক্তি যোদ্ধা ও নগর আওয়ামী লীগের একাধিক কমিটিতে বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এমপি প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন বলেন,
ঢাকা হযরত শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থানা, খিলক্ষেত থানা, দক্ষিণখান থানা এবং উত্তরখান থানা এলাকা সম্প্রতি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান ও স্থাপনার কারণে জনবহুল ঘন বসতি এলাকায় রূপান্তরিত হয়েছে।
বিশেষ করে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর রেলগেটের পূর্বপাশে রয়েছে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ, উত্তরখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, র্যাব কার্যালয়, হজ্জক্যাম্প, আনসার ক্যাম্প, শিল্প প্রতিষ্ঠান সহ আরও বহু প্রতিষ্ঠান।
তদরূপ খিলক্ষেত, কাওলার, হজ্জক্যাম্প, সেকান্দার মার্কেট, আজমপুর, কোটবাড়ি রেলগেট পূর্ব এলাকার আশপাশে অগনিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান থাকায় অত্র এলাকায় লক্ষ লক্ষ লোকের বসবাস গড়ে উঠেছে।
ইতোমধ্যে রেলযান বৃদ্ধি পাওয়ায় প্রতিদিন সকালে হাজার হাজার মানুষ তাদের কর্মস্থলে যেতে রেলগেট পারাপার হতে দূর্ঘটনা ও বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছে।
এমতাবস্থায় জনগনের দূর্ভোগ ও দুর্দশা লাঘব এবং সময়কে জয় করার জন্য কয়েকটি জায়গায় ফ্লাইওভার ও আন্ডার পাস নির্মাণ করা জরুরী হয়ে পড়েছে।
১৮ আসনকে স্মার্ট নগরে পরিনত করতে
১) কোটবাড়ি রেলগেট এর উপর ফ্লাইওভার নির্মাণ ২) আজমপুর রেলগেট এর উপর ফ্লাইওভার নির্মাণ ৩) সেকান্দর মার্কেট রেলগেট এর উপর ফ্লাইওভার নির্মাণ ৪) বিমানবন্দর রেলগেট এর উপর ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং আন্ডারপাস নির্মাণ ৫) কাওলার রেলগেট এর উপর ফ্লাইওভার নির্মাণ ৬) খিলক্ষেত রেলগেট এর উপর ফ্লাইওভার এবং আন্ডারপাস নির্মাণ ৭) কাচঁকুড়া হতে ভাতুরিয়া বড়কাউ পূর্বাচল পর্যন্ত বালু নদীতে ব্রীজ নির্মাণ।
৮) হরিরামপুর, উত্তরখান, দক্ষিণখান এবং ডুমনী ইউনিয়নের রাস্তাঘাট এবং ৬ফুট ডায়া সূয়ারেজ লাইন র্নিমাণ ও উন্নয়ন একান্ত জরুরী ।
উল্লেখ্য যে, গত ১২ বৎসরে ঢাকা-১৮ আসনে ৩টি সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান যথাঃ- ১) জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সরকারি কলেজ ২) বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুননেছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ৩) উত্তরখান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়।
উত্তরায় ১টি কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল ব্যতিত কোন উল্লেখ্যযোগ্য উন্নয়ন হয় নাই।
অত্র অঞ্চলের জনগনের দাবি মোট ১৪টি ওয়ার্ড। প্রতি ওয়ার্ডে ১টি সরকারি হাসপাতাল, ১টি সরকারি কমিউনিটি সেন্টার, ১টি সরকারি মার্কেট, ১টি খেলার মাঠ, ১টি শিশুপার্ক, ১টি গণকবরস্থান, ১টি কেন্দ্রীয় মসজিদ ও ঈদগাহ মাঠ নির্মাণ করা জরুরী।
খাল খননঃ- ১) উত্তরখান, চামুরখান কালভার্ট থেকে সিনোটির খাল পর্যন্ত ৫০ ফুট প্রশস্ত খাল খনন। ২) দক্ষিনখান আশকোনা হজ্জক্যাম্প হতে সিনোটির খাল পর্যন্ত ৫০ ফুট প্রশস্ত খাল খনন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই অঞ্চলের জনগনের দীর্ঘ দিনে র প্রত্যাশা নিন্ম উল্লেখিত ৫টি রাস্তা যথাঃ-
উত্তরা আজমপুর হতে উত্তরখান হয়ে চামুরখান পর্যন্ত। সেকান্দার মার্কেট রেলগেইট হতে দক্ষিণখান, কাচঁকুড়া হয়ে বাতুরিয়া বালু নদী পর্যন্ত, আশকোনা হজ্বক্যাম্প হতে দক্ষিণখান, সোনারখোলা, বাওথার সিনোটির খাল পর্যন্ত ও খিলক্ষেত হতে বরুয়া হয়ে ডুমনি, পাতিরা নদীর ব্রীজ পর্যন্ত। তুরাগ থানার হরিরামপুর কামারপাড়ার রাস্তা এবং বাউনিয়া রাস্তাটি ৬০ থেকে ৮০ ফুট প্রশস্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
উল্লেখিত রাস্তা গুলি জনগণের চাহিদা অনুযায়ী বাস্তবায়ন করা হলে উত্তরা শহরের মত রূপ নিবে।, উপর্যুক্ত রেলগেটের উপর ফ্লাইওভার, আন্ডারপাস, বালু নদীর উপর ব্রীজ
নির্মাণ হলে পূর্বাঞ্চলের সাথে যোগযোগ তরাম্বিত হবে ফলে অনেক শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও বহুতল বাড়ি ঘর গড়ে উঠবে এবং কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে।
অতএব, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জনগণের এবং আমাদের অভিভাবক আপনার নির্দেশে এবং হস্তক্ষেপে দেশের সবত্র অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শেখ হাসিনার কর্মী হিসেবে
তিনি নগর বাসীকে আরও বলেন, , উপর্যুক্ত এই গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় লক্ষ লক্ষ বসবাসকারি জনগণের অবর্ণনীয় দূঃখ কষ্টের কথা বিবেচনা করে উল্লেখিত জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যা গুলোর সমাধানকল্পে উপরে বর্ণিত স্থান গুলোতে ফ্লাইওভার, আন্ডার পাস, ব্রীজ, রাস্তাঘাট, সুয়ারেজ খাল খনন দ্রত বাস্তবায়নের ব্যবস্থা গ্রহন করে অশেষ কল্যাণে নগরবাসীর পাসে থাকতে চাই।