শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৮:১৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
সেনবাগে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত।  ফেনী নদীতে বালু উত্তোলনকে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, রকেট ল্যান্সারের আগুনে পুড়ল বসতঘর পুলিশ পাহারায় খাগড়াছড়ি ছেড়েছেন জেলার আকতার হোসেন   সুষ্ঠ নির্বাচনের মধ্যেমে যে দল ক্ষমতায় আসবে তারাই দেশ চালাবেন – জয়নুল আবদিন ফারুক চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের কোনো সুযোগই দেখছেন না পন্টিং আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে যাচ্ছি: শান্ত ‘শাহরুখ খানের সাক্ষাৎকার নিতে চাই’ সিনেমা হলে আবেগে ভাসলেন শতাধিক রিকশাচালক তসলিমা নাসরিনকে যে সতর্কবার্তা দিলেন মামুনুল হক খালেদা জিয়ার দেশে ফেরার বিষয়ে যা জানালেন জাহিদ হোসেন

চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বিএমইউজে’র শ্রদ্ধাঞ্জলি

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ২৭১ বার পঠিত
আপডেট : শনিবার, ৩০ ডিসেম্বর, ২০২৩, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ণ

সোহাগ আরেফিন: মোনাজাত উদ্দিন বাংলাদেশের মফস্বল সাংবাদিকতা জগতের একটি স্মরণীয় নাম। তিনি শুধু সাংবাদিক নন, নিজেই হয়ে উঠেছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান, গবেষণার বিষয়।

টেবিল-চেয়ারে বসে নাগরিক সাংবাদিকতা নয়, তিনি ছিলেন তৃণমূলের খেটে খাওয়া মানুষের সংবাদকর্মী, ছিলেন আপামর জনসাধারণের সাংবাদিক।
এখনও হাজারো সংবাদকর্মীর প্রেরণার বাতিঘর মোনাজাত উদ্দিন।
খবরের অন্তরালে যেসব খবর লুকিয়ে থাকে, সেসবের তথ্যানুসন্ধান এবং রিপোর্টিংয়ের মাধ্যমে তিনি নতুন মাত্রা যোগ করেছিলেন সাংবাদিকতার ইতিহাসে।
গ্রামের মেঠোপথে ঘুরে ঘুরে এই তথ্যানুসন্ধানী সংবাদকর্মী তার সাংবাদিকতার জীবনে নানা মাত্রিকতার রিপোর্ট করেছেন,
পাশাপাশি লিখেছেন জীবনের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ নানা ঘটনা।

১৯৪৫ সালের ১৮ জানুয়ারি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন বরেণ্য এ সাংবাদিক।
ষাটের দশকে বগুড়া থেকে প্রকাশিত বুলেটিনের মাধ্যমে সাংবাদিকতায় হাতে-খড়ি ঘটে তার।
কর্মময় জীবনে তিনি ঢাকার দৈনিক আওয়াজ, দৈনিক আজাদ, দৈনিক সংবাদ এবং সর্বশেষ দৈনিক জনকণ্ঠে কাজ করেছেন।

সম্পাদক ও প্রকাশক ছিলেন দৈনিক রংপুর পত্রিকার। তার সংবাদক্ষেত্র ছিল বাংলার মেঠোপথ, পিছিয়ে পড়া জনপদ। গ্রাম থেকে গ্রামের পথে হেঁটে দীর্ঘ জীবনে সঞ্চয় করেছেন অনেক অভিজ্ঞতা। আর এসব অভিজ্ঞতার
আলোকেই লিখেছিলেন ১১টি বই। সংবাদপত্রে অনন্য অবদান রাখা ও কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৯৯৭ সালে একুশে পদক (মরণোত্তর), ১৯৮৭ সালে ফিলিপস পুরস্কার, ১৯৭৭ সালে রংপুর নাট্য সমিতির সংবর্ধনা, ১৯৮৪ সালে সাংবাদিক জহুর হোসেন চৌধুরী স্মৃতি পদক, ১৯৮৫ সালে আলোর সন্ধানে পত্রিকার সংবর্ধনা, ১৯৮৬ সালে ফটোগ্রাফিক সোসাইটি অব বগুড়ার সম্মাননা সার্টিফিকেট, ১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অফ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স পুরস্কার, ১৯৮৮ সালে রংপুর পদাতিক গোষ্ঠীর গুণীজন সংবর্ধনা, ১৯৯০ সালে বগুড়া লেখক চক্র পুরস্কার, একই বছর লেখনির মাধ্যমে প্রযুক্তির অন্তর্নিহিত শক্তিকে প্রত্যক্ষ ও জনপ্রিয় করার দুরূহ প্রচেষ্টা চালানোর জন্য সমাজ ও প্রযুক্তি বিষয়ক পত্রিকা ‘কারিগর’ সম্মাননা এবং ১৯৯৫ সালে মর্যাদাশালী অশোকা ফেলোশিপ লাভ করেন।

এছাড়া তিনি আরও অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা লাভ করেন। তবে মোনাজাত উদ্দিন এ পুরস্কারের চাইতেও বড় পুরস্কার মনে করতেন মানুষের স্নেহ-শ্রদ্ধা ও ভালবাসাকে, যা তিনি আমৃত্যুই পেয়েছেন।
আজ চারণ সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিনের ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন এর পক্ষ বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি:- সোহেল আহমেদ সোহেল বলেন
আমাদের দেশের মিডিয়া কর্তা এবং নগরের সাংবাদিকরা ‘মফস্বল সাংবাদিকতা’ কথাটা শুনলে কেউবা প্রকাশ্যে, কেউবা গোপনে তাচ্ছিল্য করেন। মফস্বল সাংবাদিক ও সাংবাদিকতার প্রতি এই উন্নাসিক মানসিকতা বহুকাল ধরে চলে আসছে। এখনও আছে। তবে সেই চিন্তায় বড় রকমের বদল ঘটিয়েছিলেন সাংবাদিক মোনাজাতউদ্দিন নামের এক মফস্বল সাংবাদিক।

সাধারণ সম্পাদক :- শিবলী সাদিক বলেন দেশের সাংবাদিকতায় এখন ক্রান্তিকাল চলছে। এমন সময়ে মোনাজাতউদ্দিনের মতো সাংবাদিকদেরকে নতুন প্রজন্মের কাছে বেশি করে তুলে ধরার দরকার ছিল। কিন্তু সেরকম কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ে না। আর সে কারণেই এ প্রজন্মের সাংবাদিকরা মোনাজাতকে চেনেও না। কী মফস্বল, কী রাজধানী ঢাকা— সবখানেই সাংবাদিকতার ক্ষয়িষ্ণু অবস্থা। সর্বত্রই অবক্ষয়।

সাংগঠনিক সম্পাদক:- সোহাগ আরেফিন বলেন আমি এবং আমার মত দেশের অগণিত সাংবাদিক প্রতিনিয়ত তার আদর্শকে ধারণ করে মফস্বল পর্যায়ে সাংবাদিকতা করছেন।
২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানাই গভীর শ্রদ্ধা।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর