আরিফুল ইসলাম সিকদার: বরকল উপজেলায় যথাযোগ্য মর্যাদা ও আনন্দমুখর পরিবেশে আজ (১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে) ৫২ তম মহান বিজয় দিবস উদযাপন করে। এ লক্ষ্যে বরকলে দিনব্যাপী বিভীন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে উপজেলা প্রশাসন। ব্যানার, পোস্টার, বেলুন, ফেস্টুন এবং রঙিন আলোকসজ্জায় অত্র উপজেলা প্রাঙ্গণকে বর্নিল সাজে সজ্জিত করা হয়। প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান বিধান চাকমা ও সভাপতি ইউএনও ফোরকান অনুপম এলাহীর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে তোপধ্বনি, পুষ্পার্ঘ অর্পন এবং বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিনের কর্মসূচীর সূচনা করেন। এছাড়া বরকল প্রেস ক্লাব,উপজেলা আওয়ামী লীগ,বিএনপি,যুব উন্নয়ন,কৃষি অফিস,প্রানী সম্পদ,বরকল হাসপাতালসহ আরো অনেকে পুষ্পার্ঘ অর্পন করেন।
সকাল ৬.৩০ মিনিটে বিজয় দিবস উদযাপনের দ্বিতীয় পর্বে উপজেলা কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারবর্গ, শিক্ষার্থী, সাংবাদিক,আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতৃবৃন্দসহ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গরা কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সিরামিক ম্যুরালের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
মহান বিজয় দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য নিয়ে আলোচনায় বক্তাগণ বাঙালীদের জীবনে মহান বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরেন।ইউএনও মো ফোরকান অনুপম এলাহী তাঁর সমাপনী বক্তব্যে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লক্ষ শহীদ, বীরাঙ্গনা এবং জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন যে, সামন্তবাদী ও সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পরিত্যগ করে একটি আধুনিক, জনমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই বিজয়ের সব চেয়ে মৌলিক আর গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। তিনি আরো বলেন, মুক্তিসংগ্রামের গণমুখী নীতি অনুসরণে বাংলাদেশ মানবোন্নয়নে যে অগ্রাধিকার দিয়েছে তার ফলস্রুতিতেই স্বাধীন বাংলাদেশ অভুতপূর্ব উন্নয়ন অর্জন করেছ। পরিশেষে, মান্যবর রাষ্ট্রদূত শান্তি আর ঊন্নয়নের পথে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে সমগ্র দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হবার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন।
পরিশেষে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গ, জাতীয় চার নেতা এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ কামনায় বিশেষ দোয়া করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে দেশীয় খাবারের মাধ্যমে আমন্ত্রিত অতিথিবর্গকে আপ্যায়িত করা হয়।