কে এইচ মহসিন লামা বান্দরবানঃ-বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নে সরকার কর্তৃক প্রদত্ব আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসতঘর গুলোর বেহাল অবস্থা। ২০১৭সালে গৃহহীন মানুষের জন্য গৃহ নির্মাণে সরকার বহু অর্থ ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বসতঘর নির্মাণ করেন।
লামা উপজেলার আজিজনগর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাছুরী পাড়ায় বরাদ্দকৃত ১০ টি ইউনিটে ৫০টি কক্ষ নির্মাণে গৃহহীন ৫০ টি পরিবারকে উক্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাস করার জন্য ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু গৃহহীন মানুষগুলো ঘর বরাদ্দ পেয়ে খুশিতে কিছুদিন উক্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পে থাকিলেও উপযুক্ত পরিবেশ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় অনেকেই ঘর থেকে সুকৌশলে চলে যায় অন্যত্রে।
নির্জন পাহাড়ের ভিতরে বন্য হাতির উপদ্রূপ, নাই কোন পানীয় জলের সুব্যবস্থা, ও বিদ্যুৎ, প্রকল্প নির্মাণের সময় ১০ ইউনিটে ৫০ পরিবারের জন্য ১০ টিউবওয়েল নলকুপ স্থাপন করিলেও কিছুদিন যেতে না যেতেই তা বিকল হয়ে পড়ে, ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় পানি ও পানীয় জলের অভাবটা এবং বিদ্যুৎতের সুব্যবস্থা না থাকায় গৃহহীন মানুষগুলো আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর ছেড়ে বিভিন্ন জনবসতি স্থানে চলে যায়। ফলে ঘরগুলো জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে আছে।
বর্তমানে বরাদ্দকৃত প্রাপ্ত ঘরে বরাদ্দ পাওয়া ৫০ পরিবারের মধ্যে মাত্র ৩/৪টি পরিবার বসবাস করে। তাছাড়া তাদের নামে বরাদ্দ না পেলেও চাচা, মামা,খালুর আত্নীয় পরিচয়ে বসবাস করছে আরও অন্তত ১০টি পরিবার।
সরকার বাহাদুর লক্ষ টাকা ব্যয়ে আশ্রয়হীন মানুষের জন্য নির্মিত আশ্রয়ণ প্রকল্পটির বসতঘর গুলো পুর্ণঃ মোরামত ও পানি,বিদ্যুৎ, যাতায়তসহ সুব্যবস্থা করিতে বান্দরবান জেলার নবযোগদানকৃত জেলা প্রশাসক ও লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার অসংশ্লিষ্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
উক্ত আশ্রয়ণ প্রকল্পের বেহাল অবস্থার কথা শিকার করে আজিজনগর ইউপি চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন- সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করেছে, পাশাপাশি যাদের নামে ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তাহারা সকলে উক্ত ঘর গুলোতে বসবাস করিলে হয়ত বা এমন নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হত না। যখন ঘরগুলো নির্মাণ করা হয়েছে তখন বিদ্যুৎতের সুব্যবস্থা ছিল না তবে বর্তমানে আছে, শুধু ঘরগুলো সংস্কার করলে ও পানির গভীর নলকুপের ব্যবস্থা হলেই বসবাস যোগ্য হবে।