ছায়েদ আহমেদ, হাতিয়া (নোয়াখালী)ঃহারিয়ে যাওয়ার দুইদিন পর পার্শ্ববর্তী জলভরা ডোবায় একই বাড়ির দু’টি শিশুর ভেসে থাকা লাশ দেখতে পায় পথচারীরা। খবর পেয়ে পরিবারবর্গ ছুটে আসে ঘটনাস্থলে, পরে স্থানীয় পুলিশ এসে ডোবা থেকে তুলে আনে নিথর দু’টি দেহ।
ঘটনাটি ঘটেছে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইচরা এলাকায়।
রবিবার (৯ জুন ) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড মাইচরা হেকিম মার্কেটের পার্শ্ববর্তী এক জলভরা ডোবায় পথচারীরা দুটি শিশুর ভেসে থাকা লাশ দেখে স্থানীয়দের দৃষ্টিআকর্ষণ করে। যা শুনে আশপাশের লোকজন ও শিশু দুটির আত্মীয়রা ছুটে আসে ঘটনাস্থলে। পরে হাতিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ডোবা থেকে লাশ দুটি তুলে আনে।
নিহত শিশু দু’টি হলো- উপজেলার সোনাদিয়া ইউনিয়নের মাইচরা ৩ নম্বার ওয়ার্ডের নূরনবী ফকিরের ছেলে অন্তর (৫)এবং একই বাড়ির আহজার উদ্দিনের ছেলে রাসেল (৫)। তারা দুই জন সম্পর্কে মামাতো ফুফাতো ভাই।
জানা যায়, গত শুক্রবার থেকে ছেলে দুইটি নিখোঁজ ছিল। ফলে স্থানীয়ভাবে মাইকিং করে হারানো সংবাদ প্রচার করে তাদের সন্ধান চাওয়া হয়েছিল পরিবার থেকে।
এদিকে পানিতে পড়ে একই বাড়ির দু’টি শিশুর মৃত্যুর কারণ উদঘাটনের জন্য ময়নাতদন্তের চেষ্টা চালালে ভুক্তভোগী পরিবার তাতে আপত্তি জানিয়ে ময়নাতদন্ত বিহীন লাশ দুটির দাফনকাজ সম্পন্ন করতে মিনতি জানায়। মৃত অন্তরের পিতা নূরনবী ফকির বলেন, কারো সাথে আমাদের ঝামেলা নাই, প্রশাসন চাইলে আমরা লিখিত কাগজও দিতে চাই।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান বলেন, এই ৫ বছরের শিশুর সাথে করো শত্রুতা থাকার কথা নই, আমরা এই অবুঝ শিশু ও ভুক্তভোগী পরিবারের বিপত্তি চাইনা। সহজভাবে যেনো শিশু দু’টির লাশ দাফন সম্পন্ন হয় তার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করি।
হাতিয়া থানার তদন্ত ওসি কাঞ্চন কান্তি জানান, সন্দেহ দূর করতে মূলতঃ ময়নাতদন্ত, তাছাড়া পানিতে পড়ে একই বাড়ির দু’টি শিশুর মৃত্যুর ঘটনা! এটা পরিবারের যে কেউ পরে হয়তো প্রশ্ন তুলতে পারে। তাই আমরা ময়নাতদন্তের চিন্তা করছি, তবে এরপরও আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলাপ করে দেখি কী করা যায়।