সোমবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৩৯ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
নানিয়ারচরে বন্যা কবলিত অসহায়দের মাঝে সেনাবাহিনীর ত্রাণ বিতরণ নানিয়ারচরে যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইউপিডিএফ কর্মী আটক নানিয়ারচরে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণা সেনবাগের রক্তদানকারী সংগঠন “ব্লাড এন্ড হার্ট”এর প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পাহাড়ে শান্তি, সম্প্রীতি ও উন্নয়ন নিশ্চিত হয়েছে-কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি হাতিয়ায় বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের নতুন ভবন উদ্বোধন বন্যা কবলিত অসহায় হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করলেন- সেনাবাহিনী রামগড়ে ভ্রাম্যমান আদালতে ৭ ব্যবসায়ীকে জরিমানা মাটিরাঙ্গায় অবৈধ পথে আনা ভারতীয় ঔষধ ও কসমেটিকস উদ্ধার পানছড়িতে পুলিশের অভিযানে চোরাকারবারি আটক

শিক্ষকতা ফেলে ভেন্ডিচাষীর সঙ্গে চম্পট রীতা রানীর

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ৯৮ বার পঠিত
আপডেট : শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩, ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ছায়েদ আহমেদ, হাতিয়া (নোয়াখালী):মাসতুত বোনের বাড়িতে থেকে পাশের স্কুলে শিক্ষকতা করতেন রীতা রানী দাস (৩৪)। ক্রমেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে স্থানীয় ভেন্ডিচাষী তাপস দাস শ্যামলের (৩৮) সঙ্গে। একসময় স্কুল থেকে রীতা রানী পালিয়ে যান শ্যামলকে নিয়ে।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জামাই পাড়া এলাকায় ঘটেছে এমন ঘটনা। এ নিয়ে এলাকায় নানান সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার মাসপূর্তি হলেও রীতা রানী কর্মস্থলে ফেরেনি এখনো। সে উপজেলার চরঈশ্বর রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২০ সাল থেকে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রিংকু মজুমদার জানান, ঐদিন সহকারী শিক্ষিকা রীতা রানী দাস ওছখালী(উপজেলা শহর) যাওয়ার কথা বলে যে গেছে, আর ফিরে আসেনি! বিনা অনুমোদিত ছুটিতে সে অনুপস্থিত রয়েছে বলেও জানান এই প্রধান শিক্ষিকা। বিষয়টি তখন উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করানোর কথা বললেও তা অস্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) কামরুল হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষক মিথ্যা বলেছেন আর বিষয়টি তারা গোপন রেখেছেন।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও প্রেমিক প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজন থেকে জানা যায়, রীতা রানী পড়াশোনা করেন এই এলাকায় থেকে; কখনো খালার ঘরে, কখনো বা খালাতো বোনের ঘরে থেকে। সে সুবাদে পূর্বে থেকেও নাকি এই শ্যামলের সাথে তার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, সম্পর্কে তারা মাসতুত ভাই-বোন। তাপস দাস শ্যামল জামাই পাড়া এলাকার মৃত রায়মোহন দাসের ছেলে এবং উল্লেখিত স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা দুর্লভা রানী দাসের ছোট ভাই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রীতা রানীর পিতামাতারা থাকেন সুবর্ণচর উপজেলার কচ্ছব মার্কেট এলাকায় । তবে তাদের সঠিক নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

২০১৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রীতার চাকরি হলেও যথা সময়ে বিয়ে করেননি প্রেম চলার দরুন। তাদের এই প্রেম, পালিয়ে যাওয়া কিংবা বিয়ে করা কোনোটাই মেনে নিতে পারছেনা আত্মীয়-স্বজন কিংবা পাড়াপড়শি। রীতা রানীর খালাতো বোনের জামাই কিরিট দাস জানান, রীতা এম এ পাস মেয়ে.. সে তো তার ভাল বুঝার কথা আর শ্যামল বেকার ছেলে..! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, শ্যামল ভেন্ডিচাষ করে কোনোমতে জীবন চালায়, পড়াশোনাও তেমন নেই, ওপেন স্কুল থেকে কিছুটা পড়েছে আর এই ছেলের সাথে রীতা চলে যাওয়া উচিত হয়নি।

এদিকে প্রেমিক প্রেমিকা দু’জনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রীতা রানী তার শিক্ষকতা পেশায় ফিরে আসবে কিনা কিংবা এই অনুপস্থিতির বিষয়ে ডিপার্টমেন্টের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম জানান, একজন শিক্ষক অননুমোদিত ছুটিতে থাকলে এবং সে মোতাবেক রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর