মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ০৭:৫৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :
বিএনপি যখনই ক্ষমতায় আসে তখনই হাতিয়ার উন্নয়ন ঘটে কারীমুল হাই নাঈম বিয়ে বাড়ির দাওয়াতকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতাদের উপর হামলার ঘটনায় মানববন্ধন লালন সাঁইয়ের ১৩৫তম তিরোধান দিবসে জাতীয় মঞ্চে বেরোবির ‘টঙের গান’ প্রাণনাশের হুমকি আহনাকে পুত্রসন্তানের মা হলেন পরিণীতি চোপড়া জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন ও খেলাফত মজলিসসহ কয়েকটি দলের যুগপৎ আন্দোলন শাপলা না দিলে ইসি পালানোর জায়গা পাবে না: সরোয়ার তুষার ৯ শীর্ষ জেনারেলকে বরখাস্ত করল চীনের কমিউনিস্ট পার্টি দোহা শান্তি আলোচনা: অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত পাকিস্তান ও আফগানিস্তান ৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি প্রকাশ

শিক্ষকতা ফেলে ভেন্ডিচাষীর সঙ্গে চম্পট রীতা রানীর

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ২৯৫ বার পঠিত
আপডেট : শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩, ১:৩৫ পূর্বাহ্ণ

ছায়েদ আহমেদ, হাতিয়া (নোয়াখালী):মাসতুত বোনের বাড়িতে থেকে পাশের স্কুলে শিক্ষকতা করতেন রীতা রানী দাস (৩৪)। ক্রমেই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে স্থানীয় ভেন্ডিচাষী তাপস দাস শ্যামলের (৩৮) সঙ্গে। একসময় স্কুল থেকে রীতা রানী পালিয়ে যান শ্যামলকে নিয়ে।

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জামাই পাড়া এলাকায় ঘটেছে এমন ঘটনা। এ নিয়ে এলাকায় নানান সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার মাসপূর্তি হলেও রীতা রানী কর্মস্থলে ফেরেনি এখনো। সে উপজেলার চরঈশ্বর রায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০২০ সাল থেকে সহকারী শিক্ষিকা হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রিংকু মজুমদার জানান, ঐদিন সহকারী শিক্ষিকা রীতা রানী দাস ওছখালী(উপজেলা শহর) যাওয়ার কথা বলে যে গেছে, আর ফিরে আসেনি! বিনা অনুমোদিত ছুটিতে সে অনুপস্থিত রয়েছে বলেও জানান এই প্রধান শিক্ষিকা। বিষয়টি তখন উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে অবগত করানোর কথা বললেও তা অস্বীকার করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা(ভারপ্রাপ্ত) কামরুল হাসান বলেন, প্রধান শিক্ষক মিথ্যা বলেছেন আর বিষয়টি তারা গোপন রেখেছেন।

সোমবার সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় লোকজন ও প্রেমিক প্রেমিকার আত্মীয়-স্বজন থেকে জানা যায়, রীতা রানী পড়াশোনা করেন এই এলাকায় থেকে; কখনো খালার ঘরে, কখনো বা খালাতো বোনের ঘরে থেকে। সে সুবাদে পূর্বে থেকেও নাকি এই শ্যামলের সাথে তার সম্পর্ক সৃষ্টি হয়, সম্পর্কে তারা মাসতুত ভাই-বোন। তাপস দাস শ্যামল জামাই পাড়া এলাকার মৃত রায়মোহন দাসের ছেলে এবং উল্লেখিত স্কুলের সহকারী শিক্ষিকা দুর্লভা রানী দাসের ছোট ভাই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রীতা রানীর পিতামাতারা থাকেন সুবর্ণচর উপজেলার কচ্ছব মার্কেট এলাকায় । তবে তাদের সঠিক নাম-ঠিকানা পাওয়া যায়নি।

২০১৬ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রীতার চাকরি হলেও যথা সময়ে বিয়ে করেননি প্রেম চলার দরুন। তাদের এই প্রেম, পালিয়ে যাওয়া কিংবা বিয়ে করা কোনোটাই মেনে নিতে পারছেনা আত্মীয়-স্বজন কিংবা পাড়াপড়শি। রীতা রানীর খালাতো বোনের জামাই কিরিট দাস জানান, রীতা এম এ পাস মেয়ে.. সে তো তার ভাল বুঝার কথা আর শ্যামল বেকার ছেলে..! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একাধিক ব্যক্তি জানান, শ্যামল ভেন্ডিচাষ করে কোনোমতে জীবন চালায়, পড়াশোনাও তেমন নেই, ওপেন স্কুল থেকে কিছুটা পড়েছে আর এই ছেলের সাথে রীতা চলে যাওয়া উচিত হয়নি।

এদিকে প্রেমিক প্রেমিকা দু’জনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
রীতা রানী তার শিক্ষকতা পেশায় ফিরে আসবে কিনা কিংবা এই অনুপস্থিতির বিষয়ে ডিপার্টমেন্টের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে নোয়াখালী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফেরদৌসী বেগম জানান, একজন শিক্ষক অননুমোদিত ছুটিতে থাকলে এবং সে মোতাবেক রিপোর্ট পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর