বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৫৭ পূর্বাহ্ন

টাঙ্গালের সখীপুরের প্রতারক ফেরদৌস মিতা ১২ কোটি টাকা আত্মসাৎ করে এখন স্বপরিবারে পর্তুগালে

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ২৯৬ বার পঠিত
আপডেট : বৃহস্পতিবার, ১৮ মে, ২০২৩, ১০:৫৫ অপরাহ্ণ

আলমগীর হোসেন,টাংগাইল প্রতিনিধিঃটাঙ্গাইলের সখীপুর পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড (ফুটানি বাজার) এলাকার ফেরদৌস মিতা (৪২) পিতা মৃত ফজলুল হক,বিগত বেশ কয়েক বছর সখীপুর জেলখানা মোড়ে,তার আরেক ব্যবসায়ী পার্টনার একই এলাকার আবুবকর মিয়ার ছেলে মোশারফ হোসেন, যৌথভাবে একটি পোল্ট্রি ফিডের পাইকারী ও খুরচা দোকান খুলেন।অল্প পুঁজির ব্যবসায় মাত্র বছরখানেক সময়ের মধ্যেই স্থানীয় কিছু লোকের নিকট গভীর সম্পর্কের মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাত কর্জ করে প্রতিষ্ঠা পেতে শুরু করেন।

বছর ঘুরতে না ঘুরতেই বিভিন্ন পোল্ট্রি ফিড কোম্পানির সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলে, লাখ লাখ টাকার মাল বাকিতে ক্রয় করতে থাকেন।এদিকে বড় পরিসরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে প্রথমে দুজনে যৌথভাবে বিভিন্ন এনজিও ও ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলন করেন।তারপর ধ্রত ব্যক্তিদ্বয় গোপনে শলাপরামর্শ করে একই জায়গায় দুটি দোকান ঘর ভাড়া নিয়ে দুইটি আলাদা দোকান খুলেন।

এরপর দুজনে আলাদা আলাদা স্থানীয় কিছু লোকের নিকট থেকে,স্থানীয় কিছু এনজিও এবং ব্যাংক থেকে নিজ নামে,নিজেদের দোকানের কর্মচারীদের নামে,স্থানীয় পরিচিত নিকট আত্নীয় স্বজনের নাম ব্যবহার করে কয়েক কোটি টাকা ঋণ করেন।একপর্যায়ে ধূর্ত ফেরদৌস মিতা ২০১৯ সনের অক্টোবর মাসের শেষের দিকে,সবকিছু কৌশলে গুজিয়ে প্রায় ১০/১২ কোটি টাকা নগদ নিয়ে হঠাৎ পালিয়ে যায়।এরপর কয়েক মাস যাবৎ তার ব্যবসায়ী পার্টনার মোশারফের সাথে গোপনে ফোনে যোগাযোগ করে তাকেও আরও ১৫/২০ কোটি নগদ টাকাসহ ভাগিয়ে নিয়ে যায়।এক প্রতারক ফেরদৌস মিতার একক ঋণ,বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান, স্থানীয়ভাবে প্রতারণার শিকার কয়েকজন ভুক্তভোগীর সাথে কথা বলে জানা যায়,ফ্রেস পোল্ট্রি ফিড কোম্পানির মোট বাকি ৩৭ লাখ টাকা,বেঙ্গল পোল্ট্রি ফিড কোম্পানির বাকি মোট ২৮ লাখ টাকা,অমৃত পোল্ট্রি ফিড কোম্পানির মোট বাকি ৩০ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক সখীপুর শাখা হতে নিজ নামে ঝণ ২৫ লাখ টাকা,নিকট পরিচিত বন্ধু হামিদের নামে আরও দুই লাখ টাকা,ব্যুরো বাংলাদেশ সখীপুর শাখা হতে নিজ নামে মোট ২২ লাখ টাকা,অন্যদের নামে আরও ৫ লাখ টাকা, মনিরুজ্জামান মনির নামের আরেক ব্যাবসায়ীর নিকট থেকে ৯৮ লাখ টাকা।

উপরোল্লিখিত ঋণগুলোর বিপরীতে চেক জালিয়াতি ও প্রতারণার দায়ে স্ব স্ব আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং কোম্পানি কতৃপক্ষের দায়ের করা বেশ কয়েকটি মামলায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন মেয়াদে প্রতারক ফেরদৌস মিতার অনুপস্থিতিতে,তাকে পলাতক দেখিয়ে সাজা দেয়া হয়েছে এবং আরও কয়েকটি মামলা বিচারাধীন অবস্থায় চলমান রয়েছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে। এদিকে স্থানীয়দের মাঝে রিপন শিকদার ৫ লাখ,রাজিয়া বেগম ২ লাখ,বাবুল মেলেটারি ৭ লাখ,নুরুল ইসলাম ১ লাখ, কাশেম ৫ লাখ ও আবদুল হামিদ ৪ লাখ টাকা পাওনার বিপরীতে প্রতারক ফেরদৌস মিতা সাক্ষরিত চেক ও স্টাম্প নিয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন নিজেদের পাওনা টাকা ফেরৎ পাবার আশায়।এছাড়াও আরও অনেক আর্থিক প্রতিষ্ঠান,পোল্ট্রি ফিড ও ঔষধ কোম্পানি,স্থানীয় লোকজন রয়েছেন ভুক্তভোগী।যাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা যায়নি।

এ বিষয়ে দৈনিক আলোকিত পত্রিকার সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি আলমগীর হোসেন প্রতারক ফেরদৌস মিতার ইমু নম্বরে যোগাযোগ করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে,ধূর্ত ফেরদৌস মিতা এ-সব নিউজ পত্রিকায় প্রকাশ করলে,বাংলাদেশে অবস্থিত তার আত্মীয় স্বজন দিয়ে প্রতিবেদকের নামে চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি দেয় এবং দেশে তার নিয়োজিত টাকায় কেনা সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ভুক্তভোগী প্রতারণার শিকার অসহায় মানুষগুলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্থানীয় প্রশাসনের নিকট তাদের পাওনা টাকা ফিরে পাওয়ার জন্য প্রতারক ফেরদৌস মিতার বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আকুল আবেদন জানান

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর