এনামুল হক,শেরপুরঃশেরপুর সদর উপজেলার কুসুম হাটি বাজারস্থ জমশেদ আলী মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজাকে দুর্নীতিবাজ ও সিআইডি কর্তৃক প্রমাণিত স্বাক্ষর জালকারী উল্লেখ করে তার পদত্যাগের দাবিতে আজ দ্বিতীয় দফায় পদযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ করেছে কলেজটির দূর্নীতি প্রতিরোধ কমিটি ও এলাকার সচেতন নাগরিকগণ।
১৮ মে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় কলেজ গেট থেকে পদযাত্রা ও লিফলেট বিতরণ শুরু করা হয়। পরে বলাইরচর, চরপক্ষিমারী ও চরমোচারিয়া ইউনিয়নের বিভিন্ন বাজার ও রাস্তার মোড়ে পদযাত্রা থামিয়ে কলেজ গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি মিনহাজ উদ্দিন মিনাল বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, এলাকায় শিক্ষার হার বাড়াতে ২০০১ সালে লছমনপুর ইউনিয়নের কুসুমহাটি এলাকায় তিনি তার বাবার নামে জমশেদ আলী মেমোরিয়াল কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেন। কলেজটি পর্যায়ক্রমে ডিগ্রী ও অনার্স কলেজে উন্নীত হয়। কিন্তু বর্তমানে কলেজের অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজার স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কলেজটি এখন ধ্বংসের পথে।
তিনি আরো বলেন অধ্যক্ষ শহিদুল ইসলাম রেজা তার স্বাক্ষর জাল করে কলেজের ৪০ এর অধিক শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগ দিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ভর্তি বাণিজ্য ও ফরম ফিলাপের সময় নির্ধারিত ফি’র চেয়েও অধিক অর্থ নিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি ও বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করেছেন। তিনি ব্যাংক হিসাবে লেনদেন না করে কলেজের অভ্যন্তরীন আয়ের লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
এছাড়া নিজের অপকর্ম যাতে প্রকাশ না পায় সেজন্য অন্য এলাকার বাসিন্দা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানুকে সভাপতি বানিয়েছেন। বর্তমানের কলেজের পড়ালেখার মানও খারাপ হয়ে গেছে। পূর্বে কলেজের পাশের হার ছিল ৯৬% যা বতর্মানে নেমে দাঁড়িয়েছে ২৩%। কলেজের সুনাম ফিরিয়ে আনতে বর্তমান অধ্যক্ষের অপসারণের কোন বিকল্প নেই।
তিনি আরও বলেন, আমরা গত ৩ মে মানববন্ধন করার পর প্রশাসন ৭ দিনের মধ্যে অধ্যক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বললেও বাস্তবে তার কিছুই হয়নি। তাই আমরা ধারাবাহিকভাবে আমাদের কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছি। আগামী ৩০ মে মঙ্গলবার বিকাল ৩ ঘটিকায় কুসুম হাটি বাজারে অনুষ্ঠিতব্য গন-জামায়েত কর্মসূচিতে সকলকে অংশ গ্রহনের বিনীত আহ্বান জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ৩ মে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও অবরোধ কর্মসূচির পর ৫ মে শুক্রবার তার বিপরীতে শেরপুর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে অধ্যক্ষ শহীদুল ইসলাম রেজা।