তুফান চাকমা, নানিয়ারচর উপজেলা প্রতিনিধি:- রাঙামাটিতে ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব বুদ্ধ পূর্ণিমা উদযাপন করা হয়েছে। গৌতম বুদ্ধের ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত জগতের সকল প্রাণী সুখী হোক’—এই অহিংসা বাণীর প্রচারক গৌতম বুদ্ধের জন্মলাভ, বুদ্ধত্ব লাভ আর মহাপরিনির্বাণ লাভ, এই দিনটি বৈশাখী পূর্ণিমা তিথিতে হয়েছিল। এ দিনটিকে বুদ্ধ পূর্ণিমা হিসেবে পালন করে থাকেন বুদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা।
বৃহস্পতিবার সকালে এ উপলক্ষে রাঙামাটির রাজবন বিহারে ত্রিশরণ সহ পঞ্চশীল প্রার্থনা এবং মৈত্রী ভাবনা করা হয়। এছাড়াও বুদ্ধ মূর্তি দান, সঙ্ঘ দান, অষ্টপরিষ্কার দান, টাকা দান, মোমবাতি-আকাশ প্রদীপ দানের আয়োজন করা হয়।
এসময় সঙ্ঘ প্রধান হিসেবে মঞ্চে উপবিষ্ট ছিলেন রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির। প্রধান দায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক উপমন্ত্রী মণি স্বপন দেওয়ান, বিশেষ দায়ক পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসুইপ্রু চৌধুরী, বিহার পরিচালনা কমিটির সভাপতি গৌতম দেওয়ান সহ অন্যান্য সদস্যবৃন্ধ।
অপরদিকে এ উপলক্ষে পার্বত্য ভিক্ষুসঙ্ঘ কর্তৃক এক মঙ্গল শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়। শোভাযাত্রাটি রাঙামাটি সরকারি কলেজ মাঠ প্রাঙ্গন থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে বনরুপা কাঠালতলীতে গিয়ে শেষ হয়। এতে রাঙামাটি সদরের বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার ও উদ্যম ফাউন্ডেশন সেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সর্বস্তরের পূর্ণাথীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
পরে মৈত্রী বিহারে এক ধর্মীয় সভায় সকলেই মিলিত হয়। এসময় পার্বত্য ভিক্ষু সঙ্ঘের সভাপতি ভদন্ত শ্রদ্ধালংকার মহাথেরোর সভাপতিত্বে প্রধান পূর্ণ্যাথী হিসেবে অংশগ্রহণ করেন রাঙামাটির ২৯৯নং আসনের সংসদ সদস্য ও খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি দীপংকর তালুকদার, এমপি।