শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সংবাদ শিরোনাম :

আগামী নির্বাচনে কারচুপি হলে কঠোর আন্দোলন

দিগন্তের বার্তা ২৪ ডেস্ক : / ১৪৫ বার পঠিত
আপডেট : মঙ্গলবার, ২ মে, ২০২৩, ৪:২৪ পূর্বাহ্ণ

নজরুল ইসলাম:-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি রেজাউল করিম চরমোনাইর পীর বলেছেন,১৮৮৬ সাল থেকে শুরু হওয়া আন্দলন ক্রমান্নয়ে অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দলনে বাংলাদেশ স্বাধীনতার ৫২ বছর পার হলেও আমরা বহু দিক থেকেই ক্ষমতার অপব্যবহারের কারণে স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি, পায়নি আজও শ্রমিক তার ন্যায্য অধিকার। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি চূড়ান্ত রকমের অস্থিতিশীল। নির্বাচন কমিশনসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে আজও প্রাতিষ্ঠানিকীকরণ করা যায় নি। যে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের উৎসব; তা আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তার মহড়ায় পরিণত হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো ক্ষমতাকেন্দ্রীক দ্বন্দ্বে এতটাই বেপরোয়া যে, ৫ বছর পর পর নির্বাচনের সময় দেশে যুদ্ধাবস্থা তৈরি হয়।

অন্যদিকে ভারসাম্যহীনতা সর্বত্র। অর্থনীতিতে একদিকে আকাশচুম্বি জিডিপি অন্যদিকে টিসিবি’র পণ্য কিনতে ট্রাকের পেছনে ছুটছে ক্ষুধাতুর মানুষ। একদিকে কোটিপতির সংখ্যা বাড়ছে অন্যদিকে ৪৪ শতাংশ মানুষ খাবারের বাজেট কমাতে বাধ্য হচ্ছে। ক্ষমতা-সংশ্লিষ্টরা রাষ্ট্রের সম্পদ চুরি করে বিদেশে পাচার করছে অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের তুচ্ছ কারণে জেলে পাঠানো হচ্ছে। ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে যা খুশি করছে আর সাধারণ নাগরিক কথা বলার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। আজ আমার শ্রমিক ভাইয়েরা চরম দুঃখ-কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

আজ (১ মে) সোমবার ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের আয়োজনে ইপিজেড চত্বরের শ্রমিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, একটি স্বাধীন দেশের সকল স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ভারতকে একতরফা ট্রানজিট প্রদান দেশের স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে একের পর এক বাংলাদেশি হত্যা করে লাশ উপহার দিচ্ছে বিএসএফ। জোরালো কোন প্রতিবাদ পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার করেনি। এধরনের দুর্বল পররাষ্ট্রনীতির কারণে ভারত বাংলাদেশকে তোয়াক্কাই করছে না। আর আমাদের সরকার ভারতকে সব কিছু উজার করে দিচ্ছে। অবিলম্বে এ সর্বনাশা ট্রানজিট চুক্তি বাতিল করতে হবে। সরকার যেনতেনভাবে নির্বাচন দিয়ে পুনরায় ক্ষমতায় যাওয়ার ফন্দি ফিকির করছে। কিন্তু সরকারের সে স্বপ্নসাধ জনগণ তা পূরণ করতে দেবে না। তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জনগণের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। জাতিকে চলমান কলঙ্ক থেকে মুক্ত করতে জাতীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিকল্প নেই।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আলহাজ¦ মুহাম্মদ আমিনুল ইসলাম বলেন, সভ্যতা গড়ার কারিগর আমার শ্রমিক ভাইয়েরা আজকে মানবেতর জীবনযাপন করছে। আমরা বিশ্বাস করি ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়ন ছাড়া শ্রমিকের ন্যায্য অধিকার আদায় সম্ভব নয়। তাই দেশের স্থায়ী শান্তি, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, মানবতার কল্যাণ ও ইসলামী শ্রমনীতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আগামী নির্বচানে ভোট-ডাকাতদের প্রতিহত করতে হবে, ইসলামকেই ক্ষমতায় বসাতে হবে।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রামের নগর সভাপতি আলহাজ্ব মো: জান্নাতুল ইসলাম বলেন স্বাধীনতার পর থেকেই আমরা দেখেছি প্রত্যেক সরকারের আমলেই এক শ্রেণীর লোক শ্রমিক দেরকে ব্যবহার করে তাদের দাবি-দাওয়া পূরণ করার দাবিতে মাঠে নামিয়ে নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি হাসিল করে নেয় শ্রমিকদের ভাগ্য আর পরিবর্তন হয় না সরকার ওই কুচক্রি মহলকে চিহ্নিত করতে পারলেও নির্বাচনে ভোট ডাকাতি সহ হিন সার্থ হাসিলের নোংরা মনুষিকায় চুপসে যায়। এটা কোন সভ্য জাতী এবং ইসলামী আন্দলন বরদাস্ত করবেনা, অতএব আমদের বাড়তি কোন দাবি নয় বরং সরকার ঘোষিত নীতি গুলো যেমন রেশনিং চালু করা, ১০℅ হারে বেতন বৃদ্বি করা সহ সরকারের ঘোষিত নিতি গুলো বাস্তবায়নের জোর দাবী জানাচ্ছি। তিনি আরো বলেন আপনার আমলারাতো আপনার কথাই মানেন না অতএব আপনি ক্ষমতায় থাকার অবকাস রাখেন না এমনটা হতে থাকলে শ্রমিক জনতা আগামী নির্বাচনে আর আপনাকেও ক্ষমতায় রাখবে না
পরিশেষে তিনি আগামী নির্বাচনে হাত-পাখায় ভোট দিয়ে ইসলামি আন্দোলনকে ক্ষমতায় নেয়ার উদার্ত আহ্বান করেন।

ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা ওয়ায়েজ হোসাইন ভূইয়ার সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ নোয়াব মিয়ার সঞ্চালনায় উক্ত শ্রমিক সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক উপদেষ্টা ড. বেলাল নূর আজিজি, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক [চট্টগ্রাম বিভাগ] মুফতি দিলাওয়ার হোসাইন সাকী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের উপদেষ্টা আলহাজ¦ আবুল কাশেম মাতব্বর, সহ সভাপতি আলহাজ¦ নুরুল ইসলাম, জয়েন্ট সেক্রেটারি এইচএম মোসলেহ উদ্দিন, অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি মাওলানা নজরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ ইবরাহীম খলিল, সহ সাংগঠনিক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম শাহীন, সহ প্রচার সম্পাদক ইয়াসির আরাফাত, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম নেতা মাওলানা দিদারুল মাওলা, ইসলামী শ্রমিক আন্দোলন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগরের সহ সভাপতি মুহাম্মদ শরীফ চোধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মাসুম নয়ন, যুবনেতা আবুল হাসনাত তানিম, মাসুদুর রহমান, ছাত্রনেতা মুহাম্মদ জিল্লুর রহমান, তানজুন মোল্লাসহ জেলা এবং বিভিন্ন থানা নেতৃবৃন্দ।

Facebook Comments Box


এ জাতীয় আরও খবর
এক ক্লিকে বিভাগের খবর