এনামুল হক,শেরপুরঃশেরপুরে ধর্ষন চেষ্টা মামলায় স্বাক্ষী হওয়ার অপরাধে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরসহ নগদ ২৩ লক্ষ টাকা ও প্রায় ১৬ লক্ষ টাকার স্বর্ণের গয়না লুট করার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার চরপক্ষিমারী ইউনিয়নের সাতপাকিয়া গ্রামে গত ২৩ এপ্রিল রবিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনা ঘটে। এসময় সন্ত্রাসীরা বাড়ির চারপাশে লাগানো সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। পরে দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়িতে প্রবেশ করে আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুট করে। এ ঘটনায় ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. আল-আমিন আহমেদ বাদী হয়ে শেরপুর সদর থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে পরিবারটি আতঙ্কে দিন পার করছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী এক নারী বাদী হয়ে শেরপুর বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মো. রিপন মিয়াকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সং-২০০৩) এর ৯(৪) (খ) ধারায় একটি নালিশী মামলা দায়ের করেন এবং অপর প্রতিবেশী মো. বাবুল মিয়া বাদী হয়ে মো. মুন্তাজ আলী গংদের বিরুদ্ধে ১৪৩/৩৪১/৩২৩/৩০৭/৩৭৯/১১৪/০৬(২)/৩৪ ধারায় শেরপুর সদর থানায় আর একটি মামলা দায়ের করেন। এই দুইটি মামলাতে ভূক্তভোগী পরিবারের দুই ভাইকে দুই মামলার স্বাক্ষী করা হয়। এর পর থেকেই তাদের সাথে শুরু হয় আক্রোশ। এ ঘটনার জের ধরে মো. মুন্তাজ আলী, জুয়েল মিয়া, রিপন, নিকলন, সাইফুল ও হানিফ গংদের নেতৃত্বে ওই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ভূক্তভোগী মো. আল-আমিন বলেন, মুন্তাজ আলীর হুকুমে তারা আমাদের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট করেছে। একজন অসহায় মেয়েকে ধর্ষনের মতো ঘটনা ঘটানোর চেষ্টা মামলায় স্বাক্ষী হয়ে আমি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করে আজ আমি ক্ষতিগ্রস্ত হলাম। তারা আমাদের বিভিন্ন সময় হুমকি দেয়। এই ভয়ে বাসায় সিসি ক্যামারা লাগাইছি। তাতেও কাজ হলোনা। তারা ৫টি সিসি ক্যামারা ভাংচুর করেছে। আমি উপায় না দেখে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটাস্থলে আসলে পরিবেশ শান্ত হয়। আমি এর দৃষ্টান্ত মূলক স্বাস্তি চাই।
ভুক্তভোগীর বাবা হাজী মুসলেম উদ্দিন বলেন, তারা গত ৫ এপ্রিল দুপুরেও হামলার চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু সিসি ক্যামারা থাকায় তারা বাড়িতে এসেও চলে যায়। তাদের সেই দিনের হুমকির ভিডিও ফুটেজ ফেইসবুকে ভাইরাল হলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে অস্ত্রে সজ্জিত হইয়া হামলা, ভাংচুর ও ব্যাপক লুটতরাজ করে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর বিচার চাই।
হামলা ও লুটতরাজে ব্যাপারে প্রধান অভিযুক্ত মো. মুন্তাজ আলী বলেন, মোসলিম হাজির সাথে আমাদের জমি নিয়ে দ্বন্দ আছে। আমরা কোন লুটপাট করিনি যেহেতু মামলা হয়েছে আইনগত ভাবে আমরা মোকাবেলা করবো।
এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বছির আহমেদ বাদল বলেন, আমরা এই ব্যাপারে মামলা গ্রহণ করেছি। আমরা বিষয়টি গভীরভাবে পর্যবেক্ষন করছি। তদন্ত স্বাপেক্ষে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।