আলমগীর হোসেন, (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি:টাঙ্গাইলের সখীপুরে কাদেরিয়া বাহিনীর গেরিলা যোদ্ধা,সখীপুর বণিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,জনাব আবদুল হামিদ খান (নয়া মুন্সী’র)নামাজে জানাজা ২৯ এপ্রিল বাদ জোহর সখীপুর পি এম পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে কাদেরিয়া বাহিনীর সর্বাধিনায়ক জীবন্ত কিংবদন্তী বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম উপস্থিত ছিলেন। জানাজা পূর্ব সৃতিচারণে ও বীর মুক্তিযোদ্ধার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায়,তার পরিবারের সদস্যদের প্রতি শোক জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন,আমরা ৭১-এ বঙ্গবন্ধুর ডাকে সারা দিয়ে নিজেদের জীবন বাজি রেখে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌত্বের জন্য যুদ্ধ করেছিলাম।
তাই মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ রাষ্ট্রীয় সম্মানের সাথে দাফন পূর্ব গার্ড অব অর্নারের জন্য সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি।বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম আরও বলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ খান (নয়া মুন্সি) ছিলেন একজন বিশ্বস্ত দেশপ্রেমিক।মহান মুক্তি যুদ্ধে যার অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে
।
এর আগে সখীপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও প্রকৌশলী ফারজানা আলম লাশের পাশে এসে রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শন করতে চাইলে,বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী তাকে হাতজোড় করে বিনীত অনুরোধ করেন,যেন তিনি সামনে না থেকে তার অন্য কোন পুরুষ প্রতিনিধি দিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানান।কারণ তিনি একজন মহিলা,আর একজন মহিলা দিয়ে এভাবে হাজার হাজার মুসল্লিদের সামনে একজন মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধার রাষ্ট্রীয় সম্মান জানানোটা বেমানান দেখায়,যা ইসলামী শরিয়ত পরিপন্থী।এক পর্যায়ে ইউএনও লাশের পাশে থেকে সরে মাঠের অন্য পাশে গিয়ে দাঁড়ান।এ-সময় বঙ্গবীর শুধু পুলিশকে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানাতে অনুরোধ করেন।
পুলিশের একজন এসআই এবং সখীপুর পৌরসভার মেয়র মুক্তি যুদ্ধের কমান্ডার আবু হানিফ আজাদ লাশের সামনে রাষ্ট্রীয় সম্মাননার জন্য দাঁড়ালে,ইউএনও ফারজানা আলম পুলিশকে ডেকে তাতে আপত্তি জানান।এমন বিব্রতকর অবস্থায় বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী রাগ করে অনুষ্ঠান থেকে চলে যাবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলে তাৎক্ষণিক তিনাকে সখীপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ অনুরোধ করে ফেরান।
একপর্যায়ে তিনি ফিরে দ্রুত জানাজা পূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।তারপর জানাজা শেষে ইউএনও সাহেবের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা লাশের প্রতি রাষ্ট্রীয় গার্ড অব অর্নার জানানো হয়।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাধ্যে উপস্থিত ছিলেন,কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জনাব হাবিবুর রহমান (বীর প্রতীক),বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী সাহেবের সহোদর জনাব আজাদ সিদ্দিকী,সাবেক চেয়ারম্যান জনাব আব্দুল হালিম সরকার (লাল),সখীপুর উপজেলা আওয়ামিলীগের সভাপতি,সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব শওকত শিকদার,সখীপুর পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আবু হানিফ আজাদ,সখীপুর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি আব্দুস ছামাদ সিকদার, পৌরসভার সাবেক মেয়র জনাব সানোয়ার হোসেন সজীব,সখীপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার জনাব এমও গনি, সখীপুর উপজেলা আওয়ামিলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জনাব আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর তারেকসহ সখীপুর উপজেলা আওয়ামিলীগ,উপজেলা বিএনপি,সখীপুর বনিক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও সদস্যগন,অন্যান্য রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ,বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ,সখীপুর প্রেসক্লাব,সখীপুর রিপোর্টার্স ইউনিটিসহ বিভিন্ন অনলাইন নিউজপোর্টাল সাংবাদিকবৃন্দ,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সম্মানিত শিক্ষকগন সহ সখীপুরের সর্বস্তরের সকল পেশার হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।