বেনাপোল প্রতিনিধিঃ বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানিকৃত পণ্য ব্লিসিং পাউডারভর্তী ভারতীয় ট্রাকে আগুন লেগেছে। এতে ট্রাকে থাকা সব পাউডার আগুনে ভস্মিভূত হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় বেনাপোল বন্দরের ৩৫ নম্বর পণ্যগারের সামনে আগুনের ঘটনা ঘটে।
এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দেরিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছানোয় ট্রাকে থাকা সমস্ত ব্লিসিং পাউডার আগুনে ভস্মিভূত হয়ে যায়।
বন্দর সুত্রে জানা যায়, আগুনে পুড়ে যাওয়া পণ্যের আমদানিকারক গাজীপুরের ইষ্টার্ণডার ফিনিস ওয়েল। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান কলকাতা মেডিম্যাক এগুলো বাংলাদেশে রপ্তানি করে। গত ৩১ মে ভারত থেকে ৭৮ হাজার ডলার মুল্যের ২৫ মেট্রিক টন পণ্যের চালানটি ভারত থেকে আনা হয়। পণ্যটি খালাসের দায়িত্বে ছিল বেনাপোলের সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট শান্তা এন্টারপ্রাইজ।
বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্যগারে পণ্য খালাসের অনুমতি না থাকায় পণ্য নিয়ে ই-২৮ফ/৯২৫১ নম্বরের ভারতীয় ট্রাকটি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছিল। এ ছাড়া একই পণ্যবাহী আরও সাতটি ট্রাক খালাসের অপেক্ষায় রাস্তায় ছিল। একটি ট্রাকে আগুন লাগলে অন্য ট্রাকগুলো দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরানো হয়।
স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানান, গত বছরে আগুনের ক্ষত না ঠিক হতেই আবারও বেনাপোল বন্দরে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। বন্দরে আগুন নিয়ন্ত্রণে দক্ষ জনবল না থাকায় বারবার আগুনের ঘটনায় সর্বশান্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই ট্রাকসহ আমদানি পণ্য পুড়ে শেষ হয়ে যায়।
বেনাপোল ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রতন কুমার দেবনাথ জানান, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী একজন তাকে ফোন করে জানায়। ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট এক ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুন লাগার কারণ তদন্ত শেষে জানা যাবে।
বেনাপোল বন্দরের উপপরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, ব্লিসিং পাউডারে সহজে আগুন ধরে যায়। আমদানি এ পণ্যটি ঝুকিপূর্ণ বলে তারা বন্দরের মধ্যে না রেখে বাইরে ট্রাকে রেখেছিলেন। আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ ঘটনাটি দুর্ঘটনা নাকি নাশকতা তা তদন্তের পর বলা যাবে।